বাংলাদেশে ‘অভিভাবকহীন’ আওয়ামী লীগের উপর হিংসা চলছেই, আরও ২৯ জনের দেহ উদ্ধার
বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে মঙ্গলবারও ভাঙচুর ও লুটপাট চলেছে। নিহত হয়েছেন কিছু মানুষ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি দফতর, বাড়ি। তবে হামলাকারীদের নিশানায় রয়েছেন মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুরা।
বাংলাদেশে ‘অভিভাবকহীন’ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন অব্যাহত। সোমবার থেকে বাংলাদেশ জুড়ে হিংসার ঘটনায় বহু আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থক নিহত হয়েছেন। কোথাও ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলছে লুটতরাজ। রেহাই পায় নাই শেখ হাসিনার দলের কর্মীদের পরিবারও। বুধবার আওয়ামী লীগের আরও ২৯ জন নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্বস্তির প্রত্যাবর্তন! অশান্ত বাংলাদেশ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে ফিরলেন ২০৫ ভারতীয়
এক বাংলাদেশ, দুই মুখ! গাজীপুরে মন্দির পাহারায় মুসলিম যুবকেরা, এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির পাহারা দেয় মুসলিম তরুণরা।
সম্প্রীতি রক্ষার আর্জি ধর্মগুরুদের
শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া এবং বাংলাদেশ থেকে পলায়নের পর দু’দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং খুনজখমের ঘটনা থামার নাম নেই। বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে তাঁদের। পরিস্থিতি এমনই যে, প্রাণ বাঁচাতে ভারতেও চলে আসছেন কেউ কেউ। জন আওয়ামী লীগ কর্মী। প্রাক্তন কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহ আলমের বাড়ি ভস্মীভূত। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমূলের বাড়িতেও। আওয়ামী লীগের যুবলীগের দুই নেতার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সোনাগাজী উপজেলায়। লালমনিরহাট থেকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের বাড়িতে ও আগুন। বগুড়াতেও দুই যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন করেছে উন্মত্ত জনতা।
প্রসঙ্গত, হাসিনা ইস্তফা দেওয়ার পরে সবাই আশা করেছিলেন, মৃত্যুমিছিল এ বার বন্ধ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে মঙ্গলবারও প্রবল ভাঙচুর ও লুটপাট চলেছে। সরকারি দফতরে নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবি থেকে মঙ্গল, এই তিন দিনে দেশ জুড়ে অসংখ্য হিংসাত্মক ঘটনায় নিহত কিছু মানুষ। হামলাকারীদের নিশানায় রয়েছেন মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুরা।
আকাশপথে পাহারাদারি, সোমবার হাসিনার বিমানের সুরক্ষায় ছিল ভারতের জোড়া রাফাল
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়েও সোমবার থেকেই চলছে লুটপাট। সোমবার রাতে ওই দফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে আওয়ামী লীগের দফতরে অবাধে লুটপাট শুরু হয়েছে। হাতের কাছে যে যা পাচ্ছেন, নিয়ে যাচ্ছেন ঘরে।