
আত্মহত্যা কোনোকিছুর সমাধান হতে পারে না, ইদানিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মহত্যার ঘটনা শুনছি, এই বছরে প্রায় আট জন আত্মহত্যা করেছে। শুধুমাত্র চাকুরী না পাওয়ার হতাশার কারণে তারা তাদের তাজা প্রাণটা কে হত্যা করেছে! এইরকম বোকামি করার কি আছে ওরা মরে গেছে স্বার্থপরের মতো একটু ওদের পরিবারের কথা ওরা একটু ভাবেনি!
চাকুরীর হতাশাটা সৃষ্টি হয় কাজকে ছোট্ট করে দেখা থেকে।
আমাদের সমাজ এখনো পরিবর্তন আনতে পারেনি এই দিক দিয়ে। আমরা এখনো কাজকে ছোট বড় দিয়ে মুল্যায়ন করি, আর এর ফলে বাড়ছে দিনের পর দিন বেকারের সংখ্যা, বাড়ছে হতাশার কারখানা!
আর কিছু বোকা হতাশায় ডুবে থাকতে না পেরে শেষ করে দেয় নিজের জীবন কে স্বার্থপরের মতো। কি অদ্ভুত সমাধান!
আচ্ছা ওরা কি চাকুরী না পেলে আত্মকর্মসংস্থান করতে পারতো না? ওহ ওদের মাথায় ছিলোতো এই কথা আমি একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমি কেমনে এগুলো করি? এইরকম কাজকে ছোট বড় করে দেখাটা যেদিন বন্ধ হবে সমাজ থেকে সেদিন থেকে এইরকম হতাশায় ডুবে থাকবে না কেউ, হত্যা করবে না নিজের তাজা প্রাণ কে।
যেদিন আমরা বলতে পারবো আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি এবং আমি একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালায়, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমি একটি কম্পিউটার কম্পোজের দোকান চালায়, আমি নর্থ সাউথে পড়ি আমি একটি খামার করি সেদিন থেকে থাকবে না আর ঘরে ঘরে বেকার থাকবে না আর হতাশার চাপ।
আর এইরকম বোকামি করার ইচ্ছে মাথায় ঢুকলে তাদেরকে একবার সরকারি/বেসরকারি মেডিকেলে গিয়ে দেখে আসা উচিত ঐখানে কতো রোগী বেচে থাকার জন্য কতো আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আর এই আত্মহত্যাকে কেউ সমর্থন করে না এমনকি ধর্মীয় ভাবে বলা আছে আত্মহত্যা মহাপাপ!
আল ওমায়ের (সাকিব)
শিক্ষার্থী, লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।