বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদনে সাড়া দেননি চেম্বার আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
আদালতে শাম্মীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ। এর আগে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন শাম্মী। তাতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চান তিনি।
গত ১৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে শাম্মীর রিট খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায় তার।
গত ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে শাম্মীর রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ওই দিন বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আদেশ দেন। পরে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন নৌকার প্রার্থী।
১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় শাম্মীর। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল থাকে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি) এই রায় দেয়। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী।
এর আগে শাম্মী এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ-সদস্য পঙ্কজ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন ইসিতে। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।
আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের নির্দেশনা দেয় ইসি। সেই অনুযায়ী, ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মীর অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর ইসি সচিবালয়ে পাঠানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পঙ্কজের বিরুদ্ধেও তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন শাম্মী।