ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বড়দিনের আগের দিন শরণার্থী শিবিরটিতে চালানো হামলায় অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা গতকাল রোববার বলেছেন, নিহত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে পারে।
আল কিদরা বলেন, মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় গণহত্যা চালানো হয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে এই বিমান হামলাকে ‘ভয়ংকর গণহত্যা’ ও ‘নতুন যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বেসামরিক নাগরিকেরা যাতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হন, সে জন্য তাঁরা কাজ করছেন।
এর আগেও শরণার্থী শিবিরটিতে বিমান হামলা চালিয়েছিল দখলদার ইসরায়েল। গত ৪ নভেম্বর রাতে ইসরায়েলি বাহিনী চালানো ওই হামলায় ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা গাজা সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। হামলার ব্যাপকতায় হতভম্ব ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার প্রত্যয় নিয়ে সেইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে।
তারপর থেকে দখলদার ইসরায়েয়ের জঙ্গি বিমানগুলো গাজা ভূখণ্ডে লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে আসছিল। এর মধ্যে অনেক শরণার্থী শিবিরেও একের পর এক হামলা চালাচ্ছে তারা।
মাঝে এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর আবারও হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। এর পাশাপাশি স্থল অভিযানও শুরু করেছে। তাদের বর্বরোচিত হামলায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনের নাগরিক।
ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ইতোমধ্যে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।