
দেওয়ানগঞ্জ নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে সাপের কামড়ে মৃত্যুরোধে দুই দিনব্যাপী ড্রোন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে বন্যা ও বর্ষাকালে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। সাপের কামড়ে মৃত্যুরোধে যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জার্মান সরকার ও বাংলাদেশ সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং জার্মানি অ্যাসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ফ্লাডসেফ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ করার জন্য এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন যমুনা নদী বিচ্ছিন্ন চর- হলকারচর টিনের চরসহ বেশ কয়েকটি চর। সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী হলকারচর এলাকায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা দলের টিম লিডার ছিলেন প্রফেসর ড. ডিটার মোরম্যান। তিনি যুগান্তরকে জানান, ড্রোনের মাধ্যমে মহড়া ও অন্যান্য কার্যক্রম সফল হলে স্থানীয়ভাবে ফ্লাডসেফ প্রকল্পটি পুরোদমে কাজ শুরু হবে। ফলে এই এলাকায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমে আসবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে চরাঞ্চলের মানুষ সাপের কামড় থেকে প্রাণে রক্ষা পাবে।
মহড়ার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. এহিয়া।