
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ।এই আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিউল্লাহ আল মুনির লড়বেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বিএনপি প্রার্থী মাহমুদুল হাসান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী।জোটগত নির্বাচনে বাদ পরলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন। আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য হয়েছিলেন মো. ছানোয়ার হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনে ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি তার কর্মী সমর্থকদের। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, প্রতিটি উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান এবং সকলের কাছে এমপি ছানোয়ার প্রশংসিত।তাকে টাঙ্গাইলের মানুষ খুব ভালোবাসেন।
শফিউল্লাহ আল মুনিরের টাঙ্গাইল সদর আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থিতার তথ্য রবিবার গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী। শফিউল্লাহ আল মুনির টাঙ্গাইলে দানবীর নামে পরিচিত। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বাঘিল ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের স্বনামধন্য মরহুম ইয়াকুব আলী পীর সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র তিনি। জাতীয় একজন ক্রীড়া সংগঠকও তিনি। সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে রয়েছে তার পদাচরণ।বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘ইনডেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শফিউল্লাহ আল মুনির।
শফিউল্লাহ আল মুনির জনপ্রতিনিধি না হয়েও টাঙ্গাইলে অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, স্কুল, কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন শফিউল্লাহ আল মুনির। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসনে মহাজোট থেকে নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৮৮ হাজার ৫০৪ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৮ জন।
জানাযায়,নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম। ঋণ খেলাপী হয়ে তিনি সে সময় সংসদ সদস্য পদ হারান। সে থেকেই জাতীয় পার্টি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনটি পুনরায় ফিরে পেতে চেষ্টা করছে।