
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
জামালপুর জেলায় সরিষাবাড়ি উপজেলায় আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর,জগন্নাথগন্জ ঘাট এলাকায় বর্তমান মৌসুমে চাষিরা অনেক শষ্যের মধ্যে ভূট্রা আবাদে ব্যাপক সফলতা অর্জন করবেন এমনটাই আশাবাদী।ভূট্রার মুল্য বেশী হওয়াতে কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছে ভূট্রা চাষে। এলাকার চারিদিকে শোভা পাচ্ছে ভূট্রা গাছের সবুজ সৌন্দর্য।
আওনা ইউনিয়নে কৃষকের বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে ভূট্রা গাছের সবুজ সমরহ।সবুজে সবুজে ছড়িয়ে গেছে দৌলতপুর,জগন্নাথগন্জ ঘাট এলাকায় রাস্তার দু’পাশের ভূট্রা ক্ষেত। যার সবুজ সমারহে প্রাণ জুড়ায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আর চোখ ধাঁধানো রূপ মন কাড়ছে পথিকের। শীতের সকালে ভেজা মাঠে ভূট্রা গাছের পাতা থেকে ফোটা ফোটা পানি ঝরছে।ভূট্রা ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয় কেউ যেন সবুজের চাঁদর প্রকৃতির মাঠে বিছিয়ে রেখেছে।ভূট্রার বাম্পার ফলন হবে এবার এমনটাই আশা সবার।
সরিষাবাড়ি উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, কৃষি ক্ষেত্রে যতগুলি শষ্য আছে তার মধ্যে ভূট্রা অন্যতম।সরিষাবাড়ি উপজেলায়”চর উন্নয়ন প্রকল্পে” অর্থায়নে ২৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে ২০০ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষ হচ্ছে।সরিষাবাড়ি উপজেলায় আওনা ইউনিয়নে জগন্নাথগন্জ ঘাট এলাকায় দৌলতপুর গ্রাম সহ কিছু এলাকায় ভূট্রার আবাদ হচ্ছে।
সুপার শাইন (ইন্ডিয়ান) ২৭৬০ জাতের ভূট্রা বর্তমানে কুড়িগ্রাম,শেরপুর ও জামালপুর জেলার অনেক উপজেলা এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।সুপার শাইন ২৭৬০ জাতের ভূট্রা ফলন অনেক বেশী হয়।
সরিষাবাড়ি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আব্দুল কাদের জানায়,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন স্যারের নির্দেশ এবং দিক নির্দেশনায় লক্ষমাত্রা অনুযায়ী বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ মন ভূট্রা উৎপাদন হবে এ বছর।কারন চর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাষীদের বিনামূল্যে ট্রেনিং দেয়া হয় এবং বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে।ভূট্রা চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।৯০০/১০০০ টাকা মন দরে ভূট্রা বিক্রি করা যাবে বলে অফিস সুত্রে জানা যায়।
আওনা ইউনিয়নের চাষী জামাল উদ্দিন জানান,চর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আমরা ভূট্রা চাষে উৎসাহ পেয়েছি।আশাকরি অনেক লাভোবান হবো।
অন্য আরেক চাষী সাবেক মেলেটারী কামরুল হাসান তোতা বলেন,বিনামূল্যে বীজ,সার ও প্রশিক্ষন পেয়ে আমরা ভূট্রা চাষে আগ্রহি হয়েছি।কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরিদর্শন করেন।বীজ ভালো হওয়ায় ভূট্রা গাছ খুব ভালো হয়েছে।আশাকরি ফলনও ভালো হবে।আমরা খুব লাভোবান হবো।
সরেজমিনে সরিষাবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভূট্রা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ উপজেলার জমির মাটি ভালো হওয়ায় কৃষক ভূট্রা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের ভূট্রা সুপার শাইন ২৭৬০। এ বছর কৃষক ভূট্রা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন।