
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় বর্তমান মৌসুমে বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিরা রবি শষ্যের মধ্যে সরিষা আবাদে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।সরিষার মুল্য বেশী হওয়াতে কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছে সরিষা চাষে। এলাকার চারিদিকে শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য।
ভূঞাপুর উপজেলার আগতেরিল্ল্যা,পাছতেরিল্ল্যা, ঢেপাকান্দি,ধুবলিয়া,ফলদা,ঝনঝনিয়া সহ কৃষকের বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুল। মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে গেছে উপজেলার গ্রামের রাস্তার দু’পাশের সরিষা ক্ষেত। যার সুগন্ধে প্রাণ জুড়ায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আর চোখ ধাঁধানো রূপ মন কাড়ছে পথিকের। শীতের সকালে ভেজা মাঠে সরিষা ফুলের সুবাস বাতাসে ভাসছে। সরিষার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয় কেউ যেন সবুজের মাঝে হলুদ চাদর প্রকৃতির মাঠে বিছিয়ে রেখেছে। সরিষার বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা। গাছগুলো হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। এ যেন হলুদ ফুলে কৃষক লাল।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, কৃষি ক্ষেত্রে যতগুলি রবি শষ্য আছে তার মধ্যে সরিষা অন্যতম।ভূঞাপুর উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে ১২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে।
জানা যায়, গতবছর আনেক জমিতে সরিষা আবাদ হলেও এ বছর চাষ কম হচ্ছে।কারন হিসেবে জানা যায়, বোরো ধান চাষ হওয়াতে দেরীতে ধান কাটাতে হয় বলে সে সব জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে না।
টরি৭/ বারি১৪/ বারি১৭ জাতের সরিষা বর্তমানে ঘাটাইল এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।বারি ১৪ জাতের সরিষায় অনেক ফলন বেশী হয়।
ভূঞাপুর কৃষি অফিস জানায়, লক্ষমাত্রা অনুযায়ী বিঘা প্রতি ১.২ মেট্রিক টন মোট ১৬৮০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে এ বছর। ১৫০০/২০০০ টাকা মন দরে সরিষা বিক্রি করা যাবে বলে অফিস সুত্রে জানা যায়।
ভূঞাপুর সরিষা চাষের সফলতা সম্পর্কে উপজেলা কৃষি অফিসাররা জানান, বর্তমানে সরিষা চাষ যে পরিমানে হচ্ছে আরো বাড়ানোর জন্য চাষিদের প্রশিক্ষনের দেওয়া হচ্ছে। মৌমাছি তার পরাগায়নের মাধ্যমে সরিষা বীজ ভলো হয় সে দিকে লক্ষ রেখে সরিষা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরিষা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ উপজেলার জমি উর্বর হওয়ায় কৃষক সরিষার চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের সরিষা। এ বছর কৃষক সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন।