ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ওই স্কুলটিতে ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, নুসেইরাত ক্যাম্পে জাতিসংঘ পরিচালিত আবু আরবান সাইটে এই হামলা ঘটে। এটি গত আট দিনে স্কুল-আশ্রয় কেন্দ্রে ইসরায়েলের পঞ্চম হামলা। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, আবু আরবান স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোক আশ্রয় নিয়েছিল। হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তাদের বিমান বাহিনী নুসেইরাতের ইউএনআরডব্লিউএ-এর আবু আরবান স্কুল ভবনের এলাকায় সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের মতে, ভবনটি ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর আক্রমণের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এএফপিটিভির ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা কমপ্লেক্সটির রেলিংয়ের ওপরে কাপড় ও বিছানা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এবং জাতিসংঘের লোগো সম্বলিত একটি দেয়ালও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেতরের ঘরগুলোও গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।