
আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপ। এবার নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের নির্বাচন হিসেবে।প্রথম ধাপে কয়েক কোটি ভারতীয় দেশটির ২০টি রাজ্য ও কয়েকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯১টি আসনে ভোট দেবেন।ভারতের সংসদের
নিম্ন কক্ষ বা লোকসভার নতুন সংসদ গঠনের উদ্দেশ্যে সাত ধাপের এই ভোট উৎসব চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।ভোট গণনার দিন ২৩ মে।এই নির্বাচনে বৈধ ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি, যার কারণে এটি পৃথিবীর সর্বকালের সর্ববৃহৎ নির্বাচনের তকমা পাচ্ছে।ভারতে লোকসভা বা সংসদের নিম্ন কক্ষে মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা
জোটের কমপক্ষে ২৭২টি আসন প্রয়োজন হয়।নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিল।বিজেপি টানা দ্বিতীয়বারের মত নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রচারণা চালালেও তাদের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলছে বিভিন্ন এলাকার শক্তিশালী
কিছু আঞ্চলিক দল এবং ভগ্নদশা থেকে পুনরুজ্জীবিত হওয়া প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীর বাবা, দাদি এবং প্রপিতামহ তিনজনই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এবছরের জানুয়ারি মাস থেকে মি. গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।পর্যবেক্ষকদের অনেকে এই নির্বাচনকে
কয়েক দশকের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই বিভিন্ন দলের নেতাদের কথার যুদ্ধে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও তিক্ততার আভাস পাওয়া গেছে।ভোটের লড়াইয়ের হিসেবে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র তুরুপের তাস নরেন্দ্র মোদি নিজেই যিনি দাবি করেন যে ভারতের নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে
কঠোর ভাবমূর্তি সম্পন্ন এক নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন।তবে সমালোচকরা মনে করেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির যে আশ্বাস তিনি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়িত হয়নি।আর মি. মোদি’র নেতৃত্বে ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যবাদ এবং মেরুকরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মনে করেন সমালোচকরা।