
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি নেতা, মাহজাবীন মােরশেদ ও তাঁর স্বামী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মােরশেদ মুরাদ ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ২৯৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযােগ পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তারি পরােয়ানা জারি করেছেন৷চট্টগ্রাম গত বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ আদেশ দেন।বেসিক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ২৯৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযােগে দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক ) দায়ের করা । মামলায় এ গ্রেপ্তারি পরােয়ানা জারি করা হয় । মােরশেদ ইব্রাহিম
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি ও মাহজাবীন মােরশেদ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৪৫ নম্বর মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ।২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত । মাহজাবীনের প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশন ঋণের টাকা । উত্তোলন করে । তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদালতের দুদক কর্মকর্তা এমরান হােসেন সাংবাদিকদের বলেন , মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী জামিন লাভ করেন ।
পরে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার আদালত আত্মসাত করা টাকা কিস্তিতে পরিশােধের সুযােগ দেন । কিন্তু কিস্তির শর্তও ভঙ্গ করেন আসামিরা । তাই মহানগর দায়রা জজ আসামিদের জামিন বাতিল করেন । আর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত (বৃহস্পতিবার) আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরােয়ানা জারি করেছেন। আদালত সূত্র জানা যায় ,বেসিক ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ১৪১ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১০৫ টাকা আত্মসাত করেন । দুদকের
অভ্যন্তরীণ তদন্তশেষে আত্মসাতের অভিযােগের প্রাথমিক সত্যতা মিলে যায়। মাহজাবীন মােরশেদের ও তাঁর প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশন লিমিটেডের ডিরেক্টর সৈয়দ মােজাফফর হােসেন ,বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয় মামলায় ।অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যােগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ ঋণ গ্রহণ করে । ঋণ গ্রহণের বিপরীতে এ পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পত্তি বন্ধকও রাখেনি । এছাড়া ঋণের আবেদন পর্যালােচনায়
করে শাখা কার্যালয় ঋণ মঞ্জুর না করার পক্ষে মতামত দেয়। তা সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে টাকাও উত্তোলন করেন আসামিরা ।এদিকে , মােরশেদের মালিকানাধীন স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লিমিটেডের নামে ১৩৪ কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৫ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযােগে আরেকটি মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৯
সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ওই টাকা পরস্পরের যােগসাজশে আত্মসাতের অভিযােগ আনা হয় মামলায়।গত বছর ১০ জানুয়ারি দুদক ডবলমুরিং থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে । এতে মােরশেদ মুরাদ ইব্রাহীম এবং বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয় ।