
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পি বলেছেন, এক শ্রেণির শিল্প মালিক নামমাত্র মূল্যে পরিত্যক্ত সরকারি রাষ্ট্রীয় কলকারখানা কিনে নিয়ে সেখানে আবাসন ব্যবসা করেছেন, গুদাম নির্মাণ করেছেন এমনকি মার্কেটও নির্মাণ করেছেন। এরা শিল্প প্রতিষ্ঠার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিদেশে মানিলন্ডারিং করেছে। দুবাই, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে তারা বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন। স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প
প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক শিল্প মালিককে টোকেন মূল্যে জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তারাও একই অপকর্ম করেছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠার নামে সরকারি জমি ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা বিদেশে পাচার করেছেন তারা রাষ্ট্র সরকার ও জনগণের সাথে বেঈমানি করেছেন। এসব বেঈমানদের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণিকে ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এটাই হোক এবারের মে দিবসের শিক্ষা। তিনি গতকাল বিকেলে ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে মহান মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে
একথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, শ্রমিক সমাজ একটি উৎপাদনমুখী শ্রম বিনিয়োগকারী শক্তি। বর্তমান সরকার শ্রমিকবান্ধব। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি শ্রমিক শ্রেণির জন্য নিম্নতম মজুরী প্রদানসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি নিশ্চিত করতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে মালিক কর্তৃপক্ষ এমনিতে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে চায় না। তাদের উপর শ্রমিক নেতৃত্বকে চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এজন্য সবচেয়ে প্রয়োজন শ্রমিক শ্রেণির সাংগঠনিক ঐক্য এবং নিজেদের মধ্যে
বোঝাপড়া। তিনি আরো স্মরণ করিয়ে দেন যে, শিল্প কারখানায় মালিক শ্রমিক কর্মচারী সুসম্পর্ক উৎপাদনের চাকাকে গতিশীল রাখে। এ জন্য কোন মহল থেকেই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে শ্রমিক মালিক উভয় পক্ষকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শ্রমিক শ্রেণির নার্য্য মজুরি প্রদানই তাদের জীবন মান উন্নয়নে যথেষ্ট নয়। তাদের আবাসন, স্বাস্থ্য এবং সন্তানদের শিক্ষার সেবা প্রদানের বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবেচনায় রেখেছেন। তাই শিল্প শ্রমিকরা
আগের তুলনায় সে সকল সুযোগ সুবিধা অধিকতরভাবে ভোগ করছেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল। শ্রমিক শ্রেণী আগের তুলনায় এখন শ্রমের মর্যাদা ও অধিকতর সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন এবং নূন্যতম মজুরি এখন দুই তিনগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক কর্মচারীরা সম্মানজনক মজুরী পাচ্ছেন। তবে এটাই শেষ কথা নয়। শ্রমাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে
সাথে চাহিদা মজুরী ও প্রয়োজন বেড়ে যায়। তাই শ্রমিক নেতৃত্বকে এ বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য শ্রমিক মালিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি রক্ষায় সচেষ্ট থেকে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পথে এগিয়ে নিতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলি ও আবুল হোসেন আবুর স ালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনসভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
আলহাজ্ব শফর আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, পাহাড়তলী শিল্প অ লের মো: শফি বাঙালি, রেল শ্রমিক লীগের আলহাজ্ব লোকমান হোসেন, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের মো: আবদুর রহিম, সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের মো: সৈয়দুল আলম, ওয়াসা সিবিএ’র তাজুল ইসলাম, নাসিরাবাদ শিল্প অ লের মো: হাসান চৌধুরী, কালুরঘাট শিল্প অ লের মো: আলী আকবর, মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী মিসেস নাসরিন আক্তার, দোকান কর্মচারী লীগের মো: জয়নাল আবেদীন। সভামে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব
নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, সাংষ্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, উপ প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, উপ দপ্তর ম্পাদক জহরলাল হাজারী প্রমুখ। এছাড়া অ ল, ব্যাসিক ইউনিয়ন, সিবিএ, ননসিবিএ, ট্রেড ইউনিয়ন, থানা, ওয়ার্ড ও হর্কাস সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিলসহকারে সমাবেশস্থলে যোগদান করেন।প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক শিল্প মালিককে টোকেন মূল্যে জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তারাও একই অপকর্ম করেছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠার নামে সরকারি জমি ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা বিদেশে পাচার করেছেন