গত ০৩ মে ২০১৯ইং শুক্রবার বিকাল ৩,৩০মি, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির পূর্ব নির্ধারিত সাধারন সভা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ মোহাঃ নজরুল ইসলাম খানের স ালনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিসেস আমেনা বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইকবাল বাহার চৌধুরী। প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ খন্দকার
এনামুল নাছির প্রতিকুল বৈরী পরিবেশ ঘূর্ণিঝড ফনির কারনে উপস্থিত হতে না পারায় টেলিকনফারেন্সে উনার বক্তব্য প্রদান করেন। বিভিন্ন এজেন্ডাসহ পবিত্র মাহে রমদান উপলক্ষে ইফতার পার্টি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য রাখেন-অধ্যক্ষ মিসেস নুরজাহান বেগম, রাশেদুল আযম মনজু, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, এ কে এম মনিরুজ্জামান, মিসেস রাহেলা বি চৌধুরী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, মোঃ আলতাফ হোসেন, মোঃ আবু ইউনুচ, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ কামাল উদ্দীন, এস এম আবছার উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার হোসেন মুরাদ, মোঃ
রিদোয়ানুল আলম, মোঃ জাফর আলম, মোঃ খায়ের উদ্দীন সোহেল, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ হেলাল উদ্দীন, মোঃ হাবীবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ বদিউল আলম, মোঃ সালাউদ্দীন, মাহাবুবু রহমান দূর্জয়, অ্যাডভোকেট মামুন ভূইঁয়া, মোঃ ফজলু সরকার, মোঃ মিরাজ হোসেন, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আনিছুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, মোঃ শহিদুল আলম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা ব্যবস্থা আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত। যে হারে দেশে লোক সংখ্যা বাড়ছে, সে হারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বাড়ছে না। তাই এই বিপুল জনগোষ্ঠিকে শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দেশপ্রেমিক কিছু মহান মানুষ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে সরকারের কোন প্রকার সহযোগিতা ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার মানন্নোয়ন তথা সকলের জন্য শিক্ষা সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। শুধু তাই নয় দেশের এক বিশাল শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বেকারত্ব নিরসনেও এই প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা অপরিসীম। আপনাদের বক্তব্যে যৌক্তিক দাবিগুলোর মধ্যে-কিন্ডারগার্টেন এর জন্য স্বতন্ত্র একটি বোর্ড বা আলাদা মন্ত্রাণালয়
গঠন, বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ, পানির বিল বাতিল করণ, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য পাওয়া, জোর করে ইনকাম টেক্স প্রদান প্রথা বাতিল করণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান না হওয়া সত্ত্বেও সিটি কর্পোরেশনের লাইন্সেস এর জন্য চাপ প্রয়োগ না করা, উন্নয়ন কর্তৃৃৃৃৃপক্ষ কর্তৃক আবাসিক এলাকায় স্কুল কলেজ উচ্ছেদের নামে নোটিশ ও জরিমানা নামক হয়রানী বন্ধ করা, প্রতি প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫জন শিক্ষককে সরকার কর্তৃক ভাতা প্রদান করা, সকল প্রতিষ্ঠান সহজ সত্ত্বে নিবন্ধনের জন্য প্রতি দুই মাস পর পর রিভিউ কমিটির মিটিং করণ, দশম শ্রেণী পর্যন্ত ভাড়া
বাড়িতে পাঠদানের স্বীকৃতি প্রদান, ২০১০ সালে রাষ্ট্রপতি আদেশকৃত পরিপত্র মূলে ৮ম শ্রেণীর জে.এস.জি পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক হয়রানী বন্ধ করণসহ প্রাণের দাবিগুলি আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। যা পূরণ হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। ঐক্য পরিষদ এ ব্যাপারে সরকারের সাথে বিভিন্নভাবে আলোচনা করে চলছেন। আপনাদের সকলের ঐক্যবদ্ধতা ও সহযোগিতা পেলে আমাদের এই প্রাণের দাবিগুলি অচিরেই পূরণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। আজকের মূল এজেন্ডা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায়, সকলের অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, অবাদ,
নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এবং প্রতি বছরের মত একটি সুন্দর ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন এই প্রত্যাশা এবং এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও এত সুন্দর একটি সভার আয়োজন করায় আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় ফনির কারনে বাতাস শুরু হওয়ায় আরো অনেককে মতমত বা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিতে না পারায় সভার সভাপতি আজকের সাধারন সভা মূলতবী ঘোষনা করেন। মূলতবী সভার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।