মোঃ জসীম উদ্দীন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোলে পরকীয়ার টানে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা : স্ত্রীসহ আটক-৩ যশোরের বেনাপোলে একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করলো স্ত্রী ও তার প্রেমিকরা। মিলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন (৩৬) নামকে সে বাংলাদেশে আসার মাত্র ১০ ঘন্টা পর প্রেমিকদের সহযোগিতায় কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।নিহত জামাল হোসেন মালয়েশিয়া থেকে আসার মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রী এমন অভিযোগ করেছে নিহত জালাল হোসেন এর পরিবার এদিকে বুধবার (১৫ই মে) রাতে
নিজ বাড়ির বেড রুমে স্ত্রী আয়েশা তার স্বামীকে কথিত প্রেমিক ও নিজ বাবা মায়ের সহযোগিতায় হত্যা করেছে। বলে জানা যায় এঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশ আয়েশার মা-বাবা সহ ৩জনকে আটক করেছে। নিহত জামাল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। আটককৃতরা হলো- নিহত জামাল হোসেনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, শশুর রিয়াজুল ইসলাম টুকু ও শাশুড়ী ফুলবুড়ি।নিহতের বাবা হবিবার রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মালায়েশীয়া থাকে। একই গ্রামের রিয়াজুলের মেয়ে আয়েশার সাথে তার প্রায় ১৫
বছর আগে বিবাহ হয়। আর বিগত এই ১৫ বছরে তার ছেলে মালায়েশীয়া থেকে মাত্র ৩ বার বাড়ি এসেছে। তার বাড়ি না থাকার কারনে স্ত্রী আয়েশা এলাকার বিভিন্ন ছেলের সাথে প্রেম করত। প্রায় দিন কারো না কারো সাথে সে মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুই তিন দিন পর বাড়ি ফিরত। তার ছেলে মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় আলাদা বাড়ি করে সেই বাড়িতে আয়েশা ও তার মা বাবা বসবাস করত। নিহত জামাল হোসেন গত মঙ্গলবার বেলা ২ টার সময় মালায়েশীয়া থেকে বাড়ি ফিরে আসে। আর রাত ১২ টার সময় তার বুকে ও পেটে ছুরির আঘাত করে হত্যা করা
হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা জানায়, স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে আয়েশা একাধিক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এলাকায়। কেউ তাকে ফোন করে ডাকলে সে মোটরসাইকেল ভাড়া করে দুই তিনদিন একাধারে হারিয়ে যেতো। এর আগে যখন তার স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি আসে তখন তাকে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে জানায় এলাকার জনসাধারন অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো
হয়েছে। এ ঘটনায় জামালের পিতা হাবিবার রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে। নিহতের স্ত্রীসহ তিন জনকে আমারা আটক করেছি। এ হত্যাকান্ডের সাথে কে বা কাহারা জড়িত তা তদন্ত না করে এখন কিছু বলা যাবে না। তদন্তের পর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে