
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল (ভূঞাপুর) প্রতিনিধি;
” কথায় আছে শিক্ষার কোন বয়স নেই”।সেই কথার বাস্তবায়ন, প্রমান যেন দেখা যাচ্ছে চোখের সামনেই।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শত ভাগ শিক্ষায় শিক্ষাকে গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে শুরু করেছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)।সারাদেশে এ কার্য্যক্রম চলছে একযোগে।টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার কুতুবপুর, বেতুয়া, পলিশা, টেপিবাড়ী, বহাদীপুর, ছাব্বিশা, ঘাটান্দিসহ বেস কয়েকটি গ্রাম সরেজমিনে উক্ত প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত স্কুল দেখা গেছে।যেখানে সব বয়স্ক নারী এবং পুরুষ ছাএছাএী দেখা
গেছে।যাদের বয়স ৪০ বছরের উপরে।স্কুলগুলিতে উপস্থিতি চোখে পরার মতো।সব কয়টি কেন্দ্রেই শিক্ষক উপস্থিতি খাতা,ছাএ উপস্থিতি খাতা আছে।বিনা মূল্যে খাতা,কলম এবং বই দেয়া হয়।কোন প্রকার বেতন ফি নেয়া হয় না।এ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সস্থা, বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৭২ নং কেন্দ্র শিক্ষক মো: চাঁন মিঞা বলেন,এ প্রকল্পের ছাএছাএীরা জীবনের প্রায় দুই ভাগ সময় পার করে ফেলেছে,এ সময় এসে তারা যে শিক্ষা কে প্রাধান্য দেবে এটা ভাবতেই আনন্দ লাগে।আমার কেন্দ্রের ছাএছাএীরা
লিখাপড়ায় খুব মোনযোগী।অল্পদিনের মধ্যেই তারা পড়া বলতে এবং লিখতে পারতেছে।তাদের এ মনোবল দেখে আমি খুবই আনন্দিত।আশা করি এ প্রকল্প নিয়ে সরকারের যে আশা তা অবৎসই পূরন হবে।ছাএ রমজান আলী (৪৯) এ বিষয়ে জানান,আমার খুব ভালোলাগে স্কুলে আসতে।স্যারদের ব্যবহার, শিক্ষার ধরন খুব ভালো,আমরা সহজেই বুঝতে পারি।সরকার কে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি উদ্দোগ নেয়ার জন্য।শিক্ষিকা বিথী আক্তার (৩৮) জানান,ছাএ ছাএী দের ব্যবহার এবং পাঠের প্রতি মোনযোগ দেখে আমি খুবই আনন্দিত।এদের পড়াতে আমার খুব ভালোলাগে।
এখানে অনেক ছাএছাএী আছে যাদের বয়স আমার চেয়ে বেশি। তবু তারা আমাকে শিক্ষক হিসেবে অনেক সম্মান করে।ছাএী রজনী বেগম (৪৩) বলেন, আমি আগে নিজের নাম লিখতে পারতাম না।টিপ সোই দিয়ে পার করছি জীবনের ৪৮ টি বছর।সরকারের এমন মহৎ উদ্দোগে আমি এখন আমার নাম লিখতে পারি এবং লিখা পড়তে পারি।উল্লেখ্য: বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরো মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪) জেলা একযোগে এ কার্য্যক্রম চলতেছে।