মোঃ জসিম উদ্দিন,বেনাপোল প্রতিনিধি
হুন্ডির সাড়ে ১২ লাখ টাকাসহ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের তিন কনস্টেবল ও ইমিগ্রেশনের এক দালালকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।আটকের পাঁচ ঘণ্টা পর তিন পুলিশকে ছেড়ে ইমিগ্রেশনের দালালকে চালান দিয়েছে বিএসএফ। সোমবার দুপুরের দিকে তাদের আটক করে বিএসএফ। কিন্তু ঘটনাটি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। আটককৃতরা হলেন- ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল আজম উদ্দিন, রমা ও তৃষা এবং দালাল বেনাপোল বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমীন। দিনভর আটক রাখার পর সন্ধ্যার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাসার
বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে নিজ জিম্মায় পুলিশের তিন সদস্যকে বাংলাদেশে ফেরত আনেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।তবে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল বাশার উদ্ধার কৃত টাকার পরিমান ২ লক্ষ বলে জানালেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সাড়ে ১২ লক্ষটাকা তিন পুলিশসহ আটক ৪ বাংলাদেশীর নিকট থেকে জব্দ করেছে সীমান্তের একাধিক সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কাজ করার পাশাপাশি
বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করেন। এ কাজের জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাঝেমধ্যে ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করেন তিনি। তার সঙ্গে ইমিগ্রেশনের কিছু অসৎ কর্মচারী জড়িত।সোমবার দুপুরে কনস্টেবল আজম উদ্দিনের নেতৃত্বে কনস্টেবল রমা, তৃষা ও কর্মচারী রুহুল ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফকে জানিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে ফেরার পথে বিএসএফ গোপন সংবাদের মাধ্যমে তাদের আটক করে। পরে তাদের তল্লাশী করে তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বসিয়ে রাখে পেট্রাপোল বিএসএফ ক্যাম্পে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাশার বলেন, আমরা এ ধরনের একটি সংবাদ পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফ ক্যাম্পে যাই।
সেখানে গিয়ে দেখি বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের রুহুল আমিনকে দুই লাখ টাকাসহ ভারতীয় বিএসএফ আটক করেছে। পুলিশের তিন কনস্টেবল রুহুলের সঙ্গে ভারতে ফল কিনে আবার তার সঙ্গে ফেরার পথে বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ। আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে তিন কনস্টেবলকে দেশে ফেরত এনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করার পর তিন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। আর রুহুল আমিনকে টাকা আনার অপরাধে ভারতীয় বিএসএফ থানায় সোপর্দ করেছে।