
ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাও মাঝপাড়া গ্রামের মরম আলী বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ৮৫ বয়সী মরম আলী লাঠিতে ভর দিয়ে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ভিক্ষা করেন। গত সপ্তাহে তার সাথে কথা হয়। পথ চলতে চলতে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন,অভাবের সংসার। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। চিকিৎসার টাকা নাই, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে,সেলিম(১৮) মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে। সুমি (১৭) মনিজ্ঞাতি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। ছেলে যা উপার্জন করে আর আমি ভিক্ষা করে যা পাই এতে কোন
রকম বেঁচে আছি। ৮৫ বছর বয়সেও পাইনি বয়স্ক ভাতার কার্ড বা সরকারী কোন অনুদান। তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে এভাবেই তার অসহায়ত্তের কথাগুলো বলেন।সরকারি নির্দেশনায় বয়স্ক ভাতা পেতে সর্বনিম্ন ৬৫ বছর বয়সসীমা ধরা হলেও অজ্ঞাত কারণে ৮৫ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না ওই বৃদ্ধ ভিক্ষুক। বৃদ্ধ বয়সে তার আক্ষেপ এখনও তিনি বয়স্ক ভাতা পাননি। তিনি অনেকের পেছনে ঘুরেছেন ভাতার জন্য। জানতে পারেন তাকে ভাতা দেয়া হবেনা। জানা যায়, বয়স্কভাতা হচ্ছে একটি কর্মসূচি যা দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম
বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে ও পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে প্রবর্তন করা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদফতর এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে।এদিকে, ভাতা প্রাপ্তির সবযোগ্যতা থাকার পরও মরম আলী কেন বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। মরম আলী তার নাগরিক অধিকার পেতে সরকারের কাছে দাবিও জানান।এ ব্যাপারে দক্ষিন খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির বলেন“ বিষয়টি যাচাই করে দেখে মরম আলীর নাম বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।