
নিউজ ডেস্কঃ
নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে জাতীয়। সংসদের স্পিকার ছোট্ট এক শিশুকে ফিডার খাওয়াচ্ছেন সেসময় সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখছিলেন কিন্তু তিনি মনোযোগ দিয়ে। তাদের বক্তব্য শুনছিলেন অন্যদিকে। বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে ফিডারে করে দুধ। খাওয়াচ্ছেন বাচ্চাকে।পার্লামেন্টে তখন অধিবেশন চলছে। স্পিকার মনোযোগ দিয়ে আইনপ্রণেতাদের বক্তব্য শুনছেন। সেই সঙ্গে ছোট্ট এক শিশুকে ফিডারে করে দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনি। শিশুটি এক আইনপ্রণেতার। স্পিকার নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি পোস্ট করেছেন। ইতিমধ্যে সেই ছবিটি মোটামুটি ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে
নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে।এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন কন্যা নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেটি ছিল প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে কোনো শিশুর তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ঘটনা। বুধবার এক কক্ষবিশিষ্ট নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের অধিবেশন চলাকালে স্পিকার ট্রেভর ম্যালার্ড আইনপ্রণেতা তামাতি কফের এক মাসের শিশুকে সামলেছেন। শিশুটিকে ফিডারে করে দুধ খাওয়ানোর ছবি নিজেই টুইটারে পোস্ট করে ম্যালার্ড লেখেন, ‘সাধারণত স্পিকারের
চেয়ারে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাই বসেন। কিন্তু আজ একজন ভিআইপি আমার সঙ্গে চেয়ারে বসেছেন।’শিশুটির বাবা তামাতি কফে পিতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে গত বুধবারই কাজে যোগ দেন। স্পিকারের কাছাকাছিই বসা ছিলেন তিনি। অধিবেশন চলাকালে তিন সন্তানের অভিভাবক ম্যালার্ড স্পিকারের দায়িত্বের পাশাপাশি ‘বেবিসিটার–এর দায়িত্বও পালন করেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা স্পিকার ম্যালার্ড ও আইনপ্রণেতা কফের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমরা এমন ঘটনা আরও দেখতে চাই। কর্মক্ষেত্র এ ধরনের আচরণ
প্রচলনের উপযোগী হওয়া দরকার।’ আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘নিউজিল্যান্ড ছোট দেশ হতে পারে। কিন্তু বিশ্বের এর কাছ থেকে অনেক শেখার রয়েছে।’জাতীয় সংসদের স্পিকারের কোলে শিশু ফিরে করে দুধ খাওয়ার ছবি সামাজিক। যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।নিউজিল্যান্ডের মানুষের সবার মুখে এখন একটাই আলোচনা সমালোচনা জাতীয়। সংসদের স্পিকারের কোলে ছোট্ট শিশু ফিডারে দুধ খাচ্ছে।