
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের কিছু মানুষের অনলাইনের নাম শুনলে চুলকানি বেড়ে যায়। অথচ সেই অনলাইনের জন্য অনেক অসহায় পরিবার থেকে শুরু করে নির্যাতিত পরিবার পর্যন্ত বিচার পেয়েছে। দেশ ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে দেশের সবকিছু ডিজিটাল হোক তা কিছু মানুষ চাই না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে দিনরাত, কাজ করলেও দেশের কিছু মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিপক্ষে।কিছু সাংবাদিক আছে অনলাইন টিভি চ্যানেল দেখলে তাদের গায়ে যেন আগুন ধরে যায় অথচ তারা ২৪ ঘন্টাই অনলাইনে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়, এবার জানা যাক অনলাইনে যে সমস্ত ঘটনাগুলো ভাইরাল হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের আলোচিত-সমালোচিত ঘটে যাওয়া ঘটনা অনলাইনের মাধ্যমে দ্রুত সময় মানুষ জানতে পারে।
যেমন মারামারি হত্যা ইফটিজিং মাদক পাচারকারী ইয়াবা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপরাধ অনলাইনে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন। যেমন নোয়াখালীর নুসরাত হত্যার মতো এত বড় অপরাধ সর্বপ্রথম অনলাইনে প্রচার করেছিল অনলাইনে ঝড় তোলার পর স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে সংবাদ প্রচার হলে আসল আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবীতে অনলাইনে ঝড় তুলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলো। বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটিও সর্বপ্রথম অনলাইন প্রচার করে অনলাইনে প্রতিবাদ শুরু হলে অপরাধী নয়ন বন্ড চারদিন পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ০০৭ এ জড়িত থাকা সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে।
সুবর্ণচরের চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের মতো ঘটনাকেউ অনলাইন প্রচার করে অনলাইনে প্রচার হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে সেটির দ্রুত সময় বিচার হয়।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকের উপর হামলারও ঘটনা ঘটেছে কিন্তু সেই সাংবাদিক গুলো বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা থেকে শুরু করে নামিদামি টিভি চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিক তাদের বিচারের দাবিও করা হয় অনলাইনে।সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসে বাংলাদেশের সাথে ষড়যন্ত্রকারী প্রিয়া সাহের, বক্তব্যও হোয়াইট হাউস থেকে অনলাইনে প্রচারিত হয় পিয়া সাহার সাথে রোহিঙ্গাদের নেতা মহিবুল্লাহ হোয়াইট, হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সাথে দেখা করার ভিডিও টিও অনলাইনে প্রচার করেছিল। উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের সমাবেশ পাচার করতে
পারেনি কোন ধরনের পত্রিকা অথবা জাতীয় টিভি চ্যানেল রোহিঙ্গাদের এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রচার করেছিল অনলাইনে। গত কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া ক্যাসিনো অভিযানও প্রচার করে অনলাইনে,
যুবলীগের চেয়ারম্যানের বক্তব্যটিও ভাইরাল হয়েছিল অনলাইনে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেওয়া গায়ে আগুনে কাদিজা শরীর ঝলসে যায় এমন ঘটনাটিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ডাকাতির কবলে পড়ে সে ঘটনাটিও তুলে ধরেছিলেন অনলাইন আগে। সাম্প্রতিক সময়ে যৌতুক বিরোধী আন্দোলন ও শুরু করেছিল চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার একটি অনলাইন টিভি চ্যানেল সি প্লাস, এই টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরলে চট্টগ্রামের যুবকরা সেটি বুঝতে পারে তাই যারা নতুন
বিবাহ করবে সবাই যৌতুক ছাড়া বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং কোরবানির সময় মেয়ের বাড়ি থেকে গরু নেওয়ার অপরাধও বন্ধ করেছিলেন এই টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে, যৌতুক বিরোধী আন্দোলন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো করলেও সেটি তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি যেমন বাল্যবিবাহের মতো ঘটনাকেও কোন সামাজিক সংগঠন বন্ধ করতে পারেনি তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অনলাইন টিভি চ্যানেল গুলো।এ বিষয়ে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন আমরা মানবাধিকারের কাজ করি কোন জায়গায় মানবাধিকার লংঘন হলে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত করার জন্য ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় অর্থাৎ আজকের ঘটনা আগামীকাল মানুষ জানতে পারবে আর কোন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলকে খবর দিলে তারা অফিশিয়াল ফর্মালিটি
ছাড়া আসতে পারবেনা তারমানে বুঝা গেল এখানে অনলাইন এর কোন বিকল্প নেই। অনলাইনের গুরুতর বিষয় বন ও পরিবেশ রক্ষায় সোসাইটির চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজ উদ্দিন রানা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হোক যেমন কিছু মানুষ চাইনি তেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হোক চাইনি কিছু মানুষ, এসময় তিনি আরো বলেন সাধারণ যেকোনো মানুষের কাছে অনলাইনের গুরুত্বটা অনেক বেশি। কিছু মানুষ অনলাইন না বোঝার কারণে অনলাইন কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে কিন্তু অনলাইনের বিষয় সরকারের কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব আছে বলে মনে করেন, তিনি এসময় তিনি আরও বলেন অনলাইন এর গুরুত্ব যদি সরকারের কাছে না থাকতো তাহলে ৮.৫০০ নিউজ পোর্টাল এর আবেদন পত্র মাননীয় তথ্য মন্ত্রণালয় জমা নিত না।
নিউজ টি ভালো লাগলে শেয়ার এবং লাইক দিতে ভুলবেন না।