জামালপুর প্রতিনিধি:
বিশেষ আলোচনায় সরিষাবাড়ী VS+Ai কর্মী। সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে LSD (লাম্পি স্কিন ডিজিজ) রোগের আক্রান্ত গবাদি পশু। প্রতিদিন বেড়েই চলছে আক্রান্ত গবাদি পশুর সংখ্যা। এতে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে প্রান্তিক খামারী ও সাধারণ কৃষক। LSD(লাম্পি স্কিন ডিজিজ )রোগ সম্পর্কে ০৫/১২/২০১৯ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে বিভিন্ন ইউনিয়নের Ai কর্মীদের নিয়ে LSD ( লাম্পি স্কিন ডিজিজ) রোগ সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করেন VS (veterinary surgeon)সরিষাবাড়ী প্রাণী সম্পদ অফিস, ডাক্তার আতিকুর রহমান। তিনি বললেন এ রোগটি প্রথম ১৯২৯ সালে আফ্রিকার ‘জাম্বিয়া’ প্রথম অফিসিয়ালি সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালে থেকে ৪৫ সালের মধ্যে মহাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়
ছড়িয়ে পড়ে এবং দক্ষিন আফ্রিকা শত শত খামার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ রোগটি ভারতে দেখা যায়।সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশর বিভিন্ন জায়গায় গরু LSD (লাম্পি স্কিন ডিজিজ) হয়েছে।যশোর,গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, জামালপুর সহ একাধিক জেলায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। LSD হচ্ছে এটি একটি ভয়ংকর ভাইরাস বাহিত চর্মরোগ যা খামারের জন্য ক্ষতিকর।তিনি LSD(লাম্পি স্কিন ডিজিজ) সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেন যেমন। রোগের কারণ : মূলত এক প্রকার পক্স ভাইরাসে সংক্রমণে এ রোগ দেখা দেয় এবং এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে।রোগের লক্ষণ: জ্বর, লালাক্ষরণ,চামড়া পিন্ড আকৃতি, লোম উঠে যাওয়া ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়া এবং খাদ্য গ্রহন কমে যাওয়া।
কিভাবে ছড়ায় : মশা ও মাছি, লালা,দুধ, সিরিঞ্জ, রক্ষাণাবেক্ষণকারী,আক্রান্ত গরুর সিমেন।প্রতিকার : আক্রান্ত গরুকে নিয়মিত LSD ভ্যাকসিন দেয়া, খামারের আসে পাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, আক্রান্ত খামারের কোন সামগ্রী ব্যবহার না করা, আক্রান্ত গাভীর দুধ বাছুরকে খেতে না দেয়া, ক্ষত স্থান টিনচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করা।পরিশেষে তিনি বললেন LSD(লাম্পি স্কিন ডিজিজ) আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।সময়মতো চিকিৎসা দিলে এল এস টি রোগটি দ্রুত ভালো হয়ে যায় যদি তা সময়, মতো রোগ নির্ণয় করা যায়।