
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যারের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম স্যারের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ ৯ আগস্ট ২০২১ ওয়াসা মোড়, জুবলি রোড, দামপাড়া ও মেহেদীবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।সকাল ১০:৩০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৭১,০০০/- (একাত্তর হাজার টাকা) প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য, কেক তৈরীর মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ, অননুমোদিত এনার্জি ডিঙ্ক ও মেয়াদ বিহীন কাটা ঔষধ ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।মেহেদী বাগ এলাকার মেডি সাইন্স টেকনোলজিকে বৈধ আমদানিকারক বিহীন শিশুখাদ্য সংরক্ষণ, একই ফ্রিজে ঔষধের সাথে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
মালাই’কে উৎপাদন ও মেয়াদবিহীন মোড়কজাত তরল দুধ সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।কেয়ার এন্ড ফেয়ার মেডিসিন সেন্টারকে মেয়াদবিহীন কাটা ঔষধ এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।দামপাড়া এলাকার সুমিস হটকেক-কে কেক প্রস্তুতে মেয়াদোত্তীর্ণ জেল ব্যবহার করায়, ময়লাযুক্ত আইসিং সুগার ব্যবহার করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয় এবং বর্ণিত খাদ্যোপকরণ ধ্বংস করা হয়।
ওয়াসা মোড় এলাকার কে রহমান স্টোরকে ফ্রিজে দুধ, চকোলেটসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের সাথে কাঁচামাংস সংরক্ষণ ও অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার জরিমানা করে বর্ণিত ড্রিঙ্ক ধ্বংস করা হয়। সিজলকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ দইয়ের মেয়াদ ঘষে তুলে ফেলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ থাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।বাজারসমূহ পরিদর্শনকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করা হয়, মাস্ক পরিধানপূর্বক নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হট লাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।