
পাঁচ ম্যাচের শেষ টি-টোয়েন্টিতে সোমবার (৯ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়াকে ১২৩ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ছোট এই লক্ষ্য দিয়ে অজি শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। বল হাতে নিয়েই হার্ড হিটার ডানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩ বলে ৩ রান করে আউট হন আগের ম্যাচে বিস্ফোরক ইনিংস খেলা এই ক্রিকেটার। পরের ওভারে নাসুম তুলে নেন মার্শের উইকেটও। মার্শ করেন ৪ রান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩.৫ ওভারে ১৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।১০ রান নিয়ে ম্যাথু ওয়েড ও শূন্য রান নিয়ে ব্যাট করছেন বেন ম্যাকডারমট।
এর আগে বোলিং বান্ধব উইকেটে ১২২ রান করে টাইগাররা। প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারেও দারুণ খেলে দুই ওপেনার। টার্নের দেখা মিলেছে প্রথম থেকেই, তবে অ্যাশটন অ্যাগারের স্লটে পাওয়া বলে স্লগ সুইপে কাউ কর্নার দিয়ে ছয় মেরেছেন মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় ওভারে উঠেছে ১১ রান। টার্নার, অ্যাগারের পর তৃতীয় ওভার করেন আরেক বিশ্বস্ত স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা।
এদিন প্রথম ওভার করতে এসে তিনিও দিয়েছেন ১৪ রান। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩ রানে। এদিন সিরিজের সর্বোচ্চ ওপেনিং রানের জুটি হয়ে যায় বাংলাদেশের।অবশ্য প্রথম দুই ওভারের দুই স্পিনারই ফিরিয়ে এনেছে একটা স্মৃতি। এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার দুই প্রান্তে দুই স্পিনারকে দিয়ে বোলিং শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।
৫ম ওভারে বল করতে এসে অ্যাশটন টার্নার লাইন খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন, একে একে তিনটি ওয়াইড দেন। তবে ক্রিজে থেমে আসা বলেই পেলেন সাফল্য। আগেভাগেই শট খেলে ফেলেছিলেন মেহেদী, ব্যাটও ছুটে গিয়েছিল হাত থেকে। তবে এর আগেই উঠেছে ক্যাচ। মিড-অনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেই ক্যাচটা নিয়েছেন অ্যাগার। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে ৪২ রানে। মেহেদী ফিরেছেন ১২ বলে ১৩ রান করে।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ১২২ রান দাঁড় করায় বাংলাদেশ। বাকিদের মধ্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ১৯, সৌম্য সরকার ১৬, আফিফ হোসেন ১০ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ও নাথান এলিস।