
পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা দিয়েছে একটি ফেরি। সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার পথে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রো রো ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করেছে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। এতে ২৭টি যান ভর্তি রোরো ফেরিটির পেছনের অংশ ফেটে হুঁ হুঁ করে পানি ঢুকছে। এছাড়া খুঁটির সঙ্গে প্রচণ্ড ধাক্কায় ফেরিতে থাকা একটি ট্রাক প্রাইভেট কারকে চাপা দেয়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এদিকে, ফেরিটিতে পানি ওঠা অবস্থায় ফেরিটি দ্রুত শিমুলিয়ার ২ নম্বর ঘাটে নোঙর করে, তলব করা হয় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশেষ ব্যবস্থায় পাম্প লাগিয়ে পানি অপসারণ ও একই সঙ্গে ফেটে যাওয়া তলা মেরামতের কাজ চলছে বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন জানান, ফেরিটিতে প্রাইভেট কারসহ ছোট আকারের ১৬টি এবং ১১টি ট্রাক ছাড়াও বেশ কিছু যাত্রী ছিল।পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, খুঁটির পাইল ক্যাপের কংক্রিট কিছু কংক্রিট উঠে গেছে।এটি সেতুর তেমন ক্ষতি না হলেও বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।এর আগে গত ২৩ জুলাই সকাল পৌনে ১০টায় রো রো ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।ক্ষতিগ্রস্ত ফেরি শাহজালালের চালক আব্দুর রহমান জানান, ফেরির ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্রেকার পড়ে যাওয়ায় স্টিয়ারিং বিকল হয়ে যায়। তবে দ্রুত ঠিক হলেও এর আগেই প্রবল স্রোতে ফেরটির সামনের অংশ পদ্মা সেতুর খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান যাত্রীরা। আঘাতটি পানির লেভেলের নিচে হলে ফেরিটি ডুবে যেতে পারতো।পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু জুলাই মাসেই এই নিয়ে ৩টি ফেরি সেতুর পিলারে আঘাত করেছে।ওই ঘটনার পরই ফেরি শাহ জালালের চালক আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে ফেরির দুই চালককে (মাস্টার ও সুকানি) দায়ী করা হয়েছে।