
নিজস্ব প্রতিবেদক
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কাম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার শাস্তি সরূপ চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করাসহ আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেননা তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক অধ্যাপক ড. নূর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অভিযোগ তদন্তে
গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে সিএসই বিভাগের শেষ বর্ষের দুই ছাত্রী প্রায় দেড় মাস আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত একটি অভিযোগনামা দাখিল করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়াই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এতে গত ৭ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে উপাচার্য ড. নাসির উদ্দিন
ওই শিক্ষককে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস করেন।পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।শৃংখলা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপাজার্য নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় বলেন-তদন্ত প্রতিবেদন গোপনীয়
একটি বিষয়। এতে বিষয়টি নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা দ্রুততার সাথে কাজটি সম্পন্ন করেছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে কি না- এ প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি আরো বলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তিনি জানান- তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আক্কাস আলী একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব না থাকলেও কিন্তু শিক্ষক হিসেবে পুরো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। মূলত তিনি নিজেকে শোধরানো জন্য অস্থায়ীভাবে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।