
নিয়ামুর রশিদ শিহাব,গলাচিপা(পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর গলাচিপায় পৌর এলাকায় উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন যানবাহন হাইড্রালিক হর্ণের কারনে জনজীবন বিপর্যস্ত। হচ্ছে পৌর শহরের ভিতরের সড়কগুলোতে নিয়ন্ত্রণবিহীন ট্রলি, ট্রাক, টমটম, সিএনজি নসিমন, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন গাড়ীর উচ্চ শব্দের বড় বড় কারণে কোমলমতি স্কুলের শিশু, ছাত্র-ছাত্রী, বৃদ্ধলোক, অসুস্থ্য রোগী, ব্যবসায়ী, পথচারিসহ বিভিন্ন লোকজনের শ্রবনশক্তি হ্রাস সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এদিকে এই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রমন বিলাস নামের একটি সামাজিক সংগঠন উপজেলা
নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম এবং পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিন অনুমতিক্রমে সকল যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ণ বন্ধ ও অপরিকল্পিত ভাবে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মাইকিং করলেও এগুলো এখনো বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন নাগরিক মহল।
এক সূত্র জানায়, প্রতিনিয়ত গলাচিপার বিভিন্ন রুটে দূরপাল্লার ট্রাক ও ট্রলি পৌর শহরের অভ্যন্তরে সড়কের উপর দিয়ে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে যাতায়াত করছে। এসব বড় পরিবহন ছাড়াও
আঞ্চলিক নসিমন (টমটম), করিমন, টমটম ইত্যাদি যানবাহন শব্দদূষণ করে আসছে ও কালো ধোঁয়া নির্গমণ করে ছুটে চলছে গন্তব্যে। ইট-বালি, কাঠবোঝাই বিভিন্ন ট্রলি সার্বক্ষণিক যাতাযাত করছে। পৌরসভার ব্যস্ত শহরের মধ্য দিয়েও ৪০-৪৫ কিলোমিটার/প্রতি ঘন্টায় গতিতে গাড়িগুলো হাইড্রোলিক হর্ণ বাজাতে বাজাতে চলা চল করে। চালকরা মানছে না কোন রাস্তার কোনো নিয়ম নীতি। এতে পথচারিসহ স্কুলগামী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রবণ শক্তির হ্রাস সহ দুর্ঘটনার মারাত্মক ঝুকিতে রয়েছে। আমাদের কোমলমতি শিশু স্কুল ছাত্র ছাত্রী
এ ব্যাপারে গলাচিপা পৌর মেয়র মো. আহসানুল হক তুহিন জানান, যাতে শব্দ দূষণ না হয় সে ধরনের হর্ন ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ট্রলি, ট্রাক, টম টম ও নসিমন দিনের বেলা শহরের ভিতরে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হাইড্রোলিক হর্ণের কারণে আমাদের কোমলমতি ছোট ছোট শিশু স্কুলগামী শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান পৌর মেয়র তিনি এ সময় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন