
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের দাওয়াহ সম্পাদক ও বন্দর থানা সভাপতি মুহাম্মদ জহির উদ্দীনের উপর নেক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৩ টায় ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বন্দর সল্টগোলা ক্রসিং চত্বরে সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম ইয়াছিনের সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদ জসিম উদ্দীনের স ালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন
আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত সমন্বয় কমিটি বন্দর থানা সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা আবু ছাদেক আলকাদেরী। বক্তব্য রাখেন ছাত্রসেনা বন্দর থানার সহ-সভাপতি রাসেল খান রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শওকত, জুল-ইয়াকিনের সভাপতি মুহাম্মদ শিহাব, মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, আবু নাছের মাহফুজ, আতাউল মোস্তফা, মফিজুল আলম, সিরাজ আপন, একরাম, শামীম, শোয়েব, মুহাম্মদ মিরাজ প্রমুখ। শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ। বক্তারা বলেন, অহিংস ছাত্ররাজনীতির মডেল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী
ছাত্রসংগঠন হিসেবে দেশব্যাপী আদর্শিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। ছাত্রসেনার এ আদর্শিক যাত্রাকে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রুখে দিতে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতি-ওহাবী চক্র বার বার হামলা করেছে। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় হালিম, লিয়াকত, রফিক, নঈম, সাইফুল, জিতু মিয়াসহ অনেক সেনাকর্মী শহীদ হয়েছে। জামাতি চক্র বর্তমানে কয়েকবছর যাবত সরকারি দলের লেভেল লাগিয়ে সুন্নী ওয়ালামায়ে কেরাম ও ছাত্রসেনার নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করছে। গত ২৬ এপ্রিল বিকালে বন্দর থানা ছাত্রসেনার সাধারণ সভা চলাকালীন সভাপতি মুহাম্মদ জহির উদ্দীনসহ ছাত্রসেনার
নেতাকর্মীদের উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুজিব অতর্কিত হামলা তারই ধারাবাহিকতা। বক্তারা বলেন, বন্দর-হালিশহর এলাকায় ছাত্রসেনার তৎপরতায় জামাত-শিবির যখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তখন তাদের দালালরা ছাত্রসেনার নেতাদের উপর হামলা করছে। নেতৃবৃন্দ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।