
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বলেছিল তার নাম ছিল‘ফণি’ ফণি নামের ঘূর্ণিঝড়টি রোববার ভোরের দিকে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আবহাওয়া অধিদফতর।ঝড়টির বর্তমানে গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছেন, ঝড়টি এখন ভারতের অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এর উপকূল থেকে এখনও অনেক দূরে অবস্থান করায় চার সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছেন আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ
আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এবারের ঝড়টির নাম ‘ফণি। তবে বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনও অনেক দূরে রয়েছে। বলে এটি এখন ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনদিকে যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বুয়েটের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, নিম্নচাপটি শনিবার দিবাগত মধ্যরাতের পর বা আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছিল। এটা কতটা শক্তিশালী হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এর গতিপথ কেউ কেউ বলছে ভারতের
তামিলনাড়ুর চেন্নাই। তবে উপকূলঘেঁষে এন্টি ক্লকওয়াইজ পদ্ধতিতে এটি ভারত হয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যেও বিস্তৃত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর এক সতর্কবার্তায় বলেন, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত অবস্থায় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র-তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়টি বিকেলের দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার
দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ
ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বেড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, মাদারীপুর,
রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল তা কমে যেতে পারে। বলে জানিয়েছে ঝড়ের ফণি এই নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এবং এসক্যাপের মাধ্যমে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে ঝড়ের এই নামকরণ করা হয়েছে।এদিকে নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে গোটা প্রকৃতিতে। কয়েক দিনের দাপটের পর ব্যারোমিটারের পারদ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। শুক্রবার
দেশে তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা কমে শুক্রবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। এই তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতেও। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ৩৬ দশমিক ২, ময়মনসিংহে ৩৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ৩৪
দশমিক ২, সিলেট ৩৬ দশমিক ১, রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ২, রংপুরে ৩২ দশমিক ১, খুলনায় ৩৬ এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। সর্বশেষ রবিবারের তাপমাত্রা দিয়ে বুঝা যাবে ফণি কোথায় যাচ্ছে পরবর্তী দিক নির্দেশনা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্র বন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর
রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল তা কমে যেতে পারে। বলে জানিয়েছে ঝড়ের ফণি এই নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এবং এসক্যাপের মাধ্যমে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে ঝড়ের এই নামকরণ করা হয়েছে।এদিকে নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে গোটা প্রকৃতিতে। কয়েক দিনের দাপটের পর ব্যারোমিটারের পারদ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। শুক্রবার