
জয় বাংলা শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রামের উদ্যোগে ২৭ এপ্রিল‘১৯ইং শনিবার সন্ধ্যায় কদম মোবারক এম.ওয়াই উচ্চ বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও হারানো দিনের গান অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক অচিন্ত্য কুমার দাশ’র পরিচালনায় এতে সঙ্গীত পরিবেশণ করেন শিল্পী কাকলী দাশ গুপ্তা, শিল্পী তন্ময় দে, শিল্পী অনিতা দেবী, শিল্পী দিলীপ সেন গুপ্ত ও শিল্পী হারাধন নাহা (বাসু)। তবলায় ছিলেন দেবেন্দ্র দাশ। কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট নারী নেত্রী সৈয়দা শাহানা আরা বেগম। সজল দাশ’র স ালনায় কবি ও
সাংষ্কৃতিক সংগঠক আশীষ সেন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য বুদ্ধিজীবি প্রবীন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এড. মনজুর মাহমুদ খান, আলোকিত অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র কবি মোহাম্মদ জোবয়ের, উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী লায়ন এম আরমান আরিফ। প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুর রহিম, বিশেষ আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী,
বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম নুরুল হুদা চৌধুরী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লোককবি কল্পতরু ভট্টাচার্য, শারদাঞ্জলি ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাস্টর অজিত কুমার শীল, সংগঠক সালাউদ্দিন লিটন, কবি আসিফ ইকবাল, সাংবাদিক ওছমান জাহাঙ্গীর, ডাঃ আশীষ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জয়বাংলা শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সজল দাশ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নারায়ন দাশ, গণ সঙ্গীত শিল্পী হানিফুল ইসলাম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ নুরুল আলম, শিক্ষক
দুলাল বড়–য়া, সুরনিক্কন এর সভাপতি উজ্জ্বল ধর, নিউজ চাটগাঁ সম্পাদক হারাধন চৌধুরী, সংগঠক রতন ঘোষ, রতন দে, এস এম হাশেম, রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ইমরান সোহেল, মো: আকতার, পিয়াস, স্বপন রুদ্র, পলাশ দত্ত, প্রিয়াংকা মন্ডল, মো: জাফর আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিল্পী তন্ময় দে কে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি এড. মঞ্জুর মাহমুদ খান বলেন বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের শিকড়ের সংস্কৃতি। আবহমান কাল থেকে বাংলা ভাষা বাসীরা তা অন্তরে লালন করে আসছেন। বাংলা বর্ষবরণ, বসন্ত উৎসব, পৌষ মেলা ও বলী খেলাসহ অনুষ্ঠানগুলো
বিভিন্ন সংগঠন উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করে থাকেন। সংস্কৃতি বলতে গান, নৃত্য, কবিতা, নাটক, শ্রুতিনাটক প্রভৃতির মিশ্রনে যে অনুষ্ঠান তাই বুঝায়। সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি দেশের সুনাম বহিবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্বভ্রাতৃত্ববন্ধন সুদৃঢ় হয়। তবে সে সংস্কৃতি হতে হবে দেশীয় সংস্কৃতি ও বাঙালি সংস্কৃতি। যেই দেশের সংস্কৃতি যত সমৃদ্ধ, সেই দেশ ততই উন্নত। আলোচকেরা বলেন আমাদের সংষ্কৃতি আামদের গর্ব ও অহংকার। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে বিজাতীয় সংস্কৃতির কবলে পড়ে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি যেন হারিয়ে না যায়। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায়
আরো বেশি করে যতœবান হতে হবে এবং সাথে সাথে লোকজ, ভাটিয়ালী রবীন্দ্র নজরুল আ লিক গান সহ সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জণ করতে হবে যারা সংস্কৃতি চর্চা করে তারা সকলে সুন্দরবনের মানুষ হয়। সংস্কৃতি মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিাচালিত করে তবে সে সংস্কৃতি চর্চা হবে শুদ্ধ ও পরিশীলত। এ ব্যাপারে তরুণ প্রজন্মকে জাগ্রত করতে হবে। সভার সভাপতি কবি আশীষ সেন বলেন বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও হারানো দিনের গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য জয়বাংলা শিল্পী গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের সাধুবাদ জানান। অনুষ্ঠানে এসে যারা অনুষ্ঠানকে সফল করেছেন তাদের সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।