
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, রেল দপ্তরে জামাত বিএনপির দোসরা এখনও স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেনে নিতে পারিনি বলেই এখনও যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরকে কথায় কথায় বদলি, হয়রানী ও বহিস্কারাদেশ দিয়ে আসছে। গত ২৫ মার্চ গণ হত্যা দিবসের কর্মসূচিতে রেলওয়ের কিছু কর্মচারী অংশ গ্রহণ করলে জামাত বিএনপির পেত্মারা অবৈধ ভাবে বহিস্কারাদেশ দিয়ে হয়রানী করছে। তাই অবিলম্বে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার না
করলে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি যে কোন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। রেলওয়ের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে রেল শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রতিটি নেতাকর্মীকে যার যার দায়িত্ব সৎ, সততা ও জবাবদিহিতার সাথে পালন করতে হবে। বর্তমান সরকার রেলওয়ের উন্নয়নে ব্যাপক বাস্তবমূখী অনেক উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর ব্যাপারেও সরকার ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে পর্যালোচনা করে যাচ্ছে অচিরেই আমরা এর বাস্তবতা দেখতে পাবো বর্তমানে রেল খাতকে সর্বোচ্চ ও সহজলভ্য
খাত হিসাবে ইতিমধ্যই জনগণের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতেও রেল অংঙ্গন আরো সহজলভ্য ও আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলা হবে। এ জন্য আগামী প্রজন্মের রেল অংঙ্গনে যারা নিয়োগ পাবেন তাদেরকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মহান আন্তর্জাতিম মে দিবস উপলক্ষ্যে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে নতুন স্টেশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শামসুদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স া
লনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রেল শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মোঃ সিরাজ উল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চসিক ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, রেল শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সুজন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল আহমদ, নাজিম উদ্দিন আজমল,শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল করিম, , তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক গাজী শাহজাহান, গাজী তাহের
উদ্দিন নকি, আবুল খায়ের, ফজলুল করিম মামুন, মোঃ মহসিন তালুকদার, মোঃ আমিনুল ইসলাম রিয়াজ, নজরুল ইসলাম, আরিফ খান জয়, রাইসুল ইসলাম, মশিউর রহমান, শওকত আলী, রাশেদুল ইসলাম মিথুন, আবু বক্কর, ইকবাল হোসেন জনি, মিঠু কায়সার, ফয়সাল কিবরিয়া, দিদার, খালেদ, শিমুল, সেতু, আক্তারুজ্জামান ডালিম, জোবায়ের ইসলাম, রেজা, হাবিবুর রহমান, আব্দুল আহাদ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি স্টেশন চত্বর হতে নিউ মার্কেট, পুরাতন রেল স্টেশন হয়ে পুনরায় নতুন স্টেমন চত্বরে এসে সমাপ্তি ঘোষনা করে।