
নিজস্ব প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর বরাদ্দ দেয়া কর্ণফুলী টানেলের এক চতুর্থাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা যায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য টানেলের সার্বিক কাজের ৪০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্পটির পরিচালক হারুনুর রশীদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলেন তিনি।‘ধীরে ধীরে সেগমেন্টগুলো আসছে। আনোয়ারা প্রান্তে বৈদ্যুতিক লাইন ও সাবস্টেশন নির্মাণকাজ চলমান।আছে পতেঙ্গা অংশে
রোডের কাজ চলছে।’ এ ছাড়া ওয়ার্কিং শাফট, কাট অ্যান্ড কভার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প এর পরিচালক। হারুনুর রশীদ চৌধুরী তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের জন্য ৩৮১ একর জমির মধ্যে বেশিরভাগ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে। কিছু জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, শিগগির কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে।এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের মূল কাজের উদ্বোধন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর কাজের গতি বেড়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক
হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানিয়েছেন।কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সড়ক ও সেতু বিভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এটি ২০১৫ সালে কাজের অনুমোদন পেলেও ২০১৮ সালে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের উদ্বোধন করেন প্রকল্পে ঋণ হিসেবে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষে টানেল দিয়ে গাড়ি
চলাচল শুরুর কথা ও রয়েছেন।নকশা অনুযায়ী, কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা প্রান্তের নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে টানেলটি আনোয়ারা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) এলাকায় গিয়ে শেষ হবে। টানেলে দুটি টিউব থাকবে। প্রতিটি টিউবের প্রস্থ হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার। এ ছাড়া উভয় প্রান্তে ৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোডের সঙ্গে টানেলটি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।টানেলটি চট্টগ্রাম নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে। ফলে কর্ণফুলী নদীর
দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এতে কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার কমে যাবে। এটি ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। কর্ণফুলী টানেল ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার এটি চীনের সাথে বা এশিয়ান হাইওয়ে সাথে যুক্ত করতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রকল্পটির পরিচালক প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম নগরীর সহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যানজট মুক্ত হবে বলে আশা করা যায়