ছাতকে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুত্ব আহত একজনের মৃত্যু ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছবিরসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছবিরকে প্রধান আসামী করে ৩৪জনের নাম উল্লেখ্য করে নিহতের মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে গত শুত্রুবার গভীর রাতে দায়েরকৃত অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি হত্যার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র হাবিবুর রহমান (২০), মন্তাজ আলীর পুত্র জাকির হোসেন (২৮), আব্দুর নুরের পুত্র আলী নুর (১৮) কে গ্রেফতার করে গত শুত্রুবার বিকালে তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত পাভেল হত্যাকান্ডের নিদের্শদাতাসহ আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সামাজিক গন্যমাধ্যমে দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় বইছে । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ছোট মায়েরকুল গ্রামে ইউপির চেয়ারম্যানের প্রধান সহযোগি দাদন ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুছ ও জসিম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠের জমি দখলের ঘটনার বিরোধের জের নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত পাভেল মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পাভেল আহমদ ছোট মায়েরকুল গ্রামের ফারুক আহমদের একমাত্র পুত্র।
চেয়ারম্যান আব্দুল মছবির বিরুদ্ধে রয়েছে সরকার দলীয় ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে মেম্বারদের নিয়ে কোন সমন্বয় সভা না করে ও জনস্বাথে কাজ না করে ব্যক্তিস্বাথে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন বলে ইউনিয়নবাসি অভিযোগ করেন।তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ইউনিয়নবাসি জনসাধারনকে জিম্মি করে হামলা মামলা ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন গ্রামবাসির লোকজন। এছাড়া প্রকৃত ভুমিহীনদের নাম বাদ দিয়ে কোটিপতিদের নাম ভুমিহীন তালিকায় রয়েছে। পল্লীবিদ্যু সংযোগ দেয়ার নামে ২শ’গ্রাহকদের কাছ থেকে পাচঁ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার নির্দেশ মতো যে টাকা না দিলে তাদের উপরে তার বাহিনীর হামলা ও মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি শিকার হয়েছে জনগন।
এদিকে পাভেল হত্যাকান্ডে মুলহোতাকে ও মামলার প্রধান আসামী আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছবিরকে গ্রেফতারের জোরদাবি জানিয়েছেন দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নবাসির জনগন।এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছবিরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তার ব্যবহৃত সীমের নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, এ হত্যাকান্ডের এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হত্যার মামলার আসামীদের কে গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।