উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকুল গ্রামের বাসিন্ধা ফারুক মিয়ার একমাত্র ছেলে, খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র পাবেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির দু’সাপ্তাহ ধরে পলাতক থাকায় ইউনিয়নবাসী পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।সরেজমিন দেখা যায়, চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির পলাতক থাকার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা হয় কয়েক জন লোক বসে আছেন। কেউ এসেছেন জন্মনিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশান সনদপত্র, আবার কেউ এসেছেন প্রবাসে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করা জরুরী কাজে কিন্তু ইউনিয়নে এসে সার্টিফিকেট ও জন্মসনদের মতো জন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরণের সেবা পাচ্ছেননা চেয়ারম্যান না থাকায়।
এখন কি করবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। কিন্তু চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় ইউনিয়নের মানুষের দূর্ভোগ দুর্দশা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এ ব্যাপারে আজ সরেজমিন অফিসে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন পুরুষ মহিলা এসেছেন বিভিন্ন কাজে ইউপি সচিব দীপক রঞ্জন চেয়ারম্যানের অনুউপস্থিতির কথা জানিয়ে পরে আসার জন্য বলেন, এসময় উপস্থিত জেসমিন আক্তার নামক একজন বলেন, আমি গতকাল ও এসেছিলাম কাউকে পাইনি আজ ও বলছেন চেয়ারম্যান নেই এদিকে আমার একটি নাগরিক সনদ খুবই প্রয়োজন এবং একটি অ-বিবাহিত সনদপত্র ধরকার কারণ আমি একটি চাকরী’র আবেদন করবো, আর এই সপ্তাহে আমি সনদ না পেলে আমি আর আবেদন করতে পারব না।
পারভেজ নামের একজন বলেন, আজ তিনদিন ধরে ঘুরছেন একটি প্রত্যয়ন পত্রের জন্য এবং তার বাচ্চাদের দুটি জন্মসনদে স্বাক্ষর নিতে তিনি বলেন তিনদিন ঘুরার পর আজ অফিসে মুহিব নামে একজন চেয়ারম্যানের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে বললেন তার কাছে কাগজ দিতে তিনি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর এনে দেবেন।স্থানীয় সরকারের আইন অনুযায়ী পরিষদে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে অগ্রাধিকারক্রমে একজন সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
কিন্তু এখানে তা না করে জনগন কে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউপি সচিব দীপক রঞ্চন বললে, চেয়ারম্যান অনুপস্থিত এখানে আমার কিছু করার নেই। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও জনগন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী।