চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদের মনোনয়ন নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া পার্থীদের বিরুদ্ধে নতুন করে খোঁজ খবর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে দু-একদিনের মধ্যে কয়েকজন নেতা চট্টগ্রাম আসছেন বলে সূত্র জানায়। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে রিভিউ করা হচ্ছে বলে শীর্ষ একটি সূত্রে জানিয়েছেন।জানা যায় ৪০৯ জন আওয়ামীলীগ নেতা মনোনয়ন ফরম নিয়েছে কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে মাত্র ৫৫ জন। এবারের কাউন্সিলর নমিনেশন নিয়ে মিথ্যাচার, অপরাজনীতি, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন অনেক ক্লীন ইমেজের কাউন্সিলর প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা ডিজিএফআই ও এনএসআই’রর রিপোর্ট সম্পূর্ণ ক্লীন থাকার পরেও অনেকে নমিনেশন থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সদরঘাট ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জিএস ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন।তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার মামা শহীদ হারুনুর রশীদ ছিলেন (৬৯-৭০) সালে ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের নির্বাচিত ভিপি। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন।
আমিও সেই পরিবারের সন্তান, কলেজের দায়িত্ব থাকার সময় আমিও এই অপরাজনীতির শিকার হয়ে দীর্ঘদিন বিনা অপরাধে কারাভোগ করেছি। সেই কষ্টকে লাগব করার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে এবার প্রথম দলীয় নমিনেশন নিয়েছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আবারও আমি সেই অপরাজনীতির বলির পাঠা হয়েছি।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ১/১১ অসহযোগ আন্দোলন, চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিবিরমুক্ত করার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি, কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, অপরাজনীতি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তরুণ এই সমাজসেবক, নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।এদিকে মেয়র পদে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়, বাদ পড়েন বর্তমান মেয়র আজম নাছির উদ্দীন। আমার এলাকার মানুষ আমাকে চিনেন, আমি জাতির জনকের আদর্শে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। মনোনয়ন আমার কাছে মুখ্য নয়। মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটাই আমার কাছে মুখ্য। এলাকাবাসীর জন্য কাজ করতে পারাটাই আমার ধ্যান-জ্ঞান। এখানে কোন ধর্ম-বর্ণ, দলমত নেই। মানুষ আমাকে ভালবাসে আজ আমি তা উপলব্ধি করছি।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলর পদে দলীয় নমিনেশন না পেলেও আপনারা হতাশ হয়ে যাবেন না। প্রয়োজনে আমি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ সমর্থিত, সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। জনগণ যাতে তার কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয় এবং জনমুখী কোন কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য তিনি তার এলাকার জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান। এবং সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হয়ে তিনি আগামী কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানান।