
নিজস্ব প্রতিবেদক::: অজানা বাংলাদেশ
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণসংযোগকালে বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের আস্থা জনগণের উপর। আমরা জনগণের কাছেই যাচ্ছি। তাদের(আওয়ামী লীগের) আস্থা অন্য জায়গায়। তাই বার বার তারা সেখানেই যাচ্ছে। জনগণের ওপর আস্থাশীল বলে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে ঘরে ঘরে যাচ্ছি, এটাই বিএনপির রাজনীতি , গণতন্ত্রের রাজনীতি।তিনি গতকাল বিকেলে নগরীর ২১ নং জামালখান ওয়ার্ডে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী গণসংযোগকালে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।তিনি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে নূর আহমদ সড়ক থেকে গণসংযোগ শুরু করে পুরাতন বিমান অফিস গলি, শতদল ক্লাব, হেমসেন লেন, লাভলেইন, বৌদ্ধ মন্দির, মোমিন রোড, চেরাগীর মোড় হয়ে জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে পথসভায় মিলিত হন।
পথ সভায় তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানুষের সবচেয়ে বড় আবেগ। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, ধানের শীষে ভোট চাই- এটাই আজ সবার মনে কাজ করছে। জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।
মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে অত্যন্ত মেধাবী, জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেতা। সেদিক থেকে জনগণের উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভালোবাসার অভাব নেই। এখন আমরা শুধুমাত্র ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে শুধু জয় নয়, বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করবো।
চট্টগ্রামের মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ বার বার প্রমাণ করেছেন দেশ যখন অচল অবস্থায় চলে যায় মুক্তিকামী মানুষ যখন মুক্তি চায়, সে পদক্ষেপে চট্টগ্রামের মানুষ প্রথমই এগিয়ে আসে। বিগত দিনেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আশাকরি এবারও নেবে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও নতুন কোন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য অন্তত আরো দুই হাজার শয্যা সংখ্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে চসিকের সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করবো। মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে আধুনিকায়ন ও শয্যার সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশু স্বাস্থ্য সেবা ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বেকরোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ এই রোগ নির্ণয়ের জন্য সারাদেশে একটি মাত্র পরীক্ষাগার আছে। আমার ইচ্ছে আছে, নতুন রোগ নির্ণয়ে সহজসাধ্য করার জন্য চট্টগ্রামে বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা। সাথে সাথে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী সৃষ্টি করে গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি করার।
চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির নেতা জসিম উদ্দিন সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগম মনি, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী আবু মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইটএম রাশেদ খান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. দিদারুল আলম, মো. সেলিম, হাসানুল করিম চৌধুরী, মো. দেলোয়ার, মো. কামাল হোসেন, এফ এ এফ রুমি, ওমর ফারুক, নুর হোসেন, কিং মোতালেব, সৈয়দ সাফোয়ান আলী, ইমরান হোসেন, মীর মো. মোবারক হোসেন, আলমাস হোসেন, মো. রুবেল, ফারুক মিয়া প্রমুখ