দীর্ঘদিন কারাভোগের পর পরিশেষে পারিবারিক পরিবেশে মানসিকভাবে স্বস্তি বোধ করছেন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক সুস্থতা বেশ ধীরগতি। তবে খালেদা জিয়া দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবরে মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন তার এক চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক জানান, রাজধানীর গুলশানের ভাড়াবাড়ি ফিরোজায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উদ্বেগ তার মনের ওপর প্রভাব পড়েছে।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের তত্ত্বাবধানে ছয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড চিকিৎসা দিচ্ছে। এরা হলেন অধ্যাপক ডা. এফএফ সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. রাজিবুল আলম, অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন। এখন প্রধান কাজ হলো তাকে একা থাকতে দেওয়া। উনি আগের চেয়ে মানসিকভাবে ভালো আছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় তার পুরনো রোগগুলো জটিল আকার ধারণ করেছে।
আশা করছি সুস্থ চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।
লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাঘবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
গত ২৫ মার্চ বিকালে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’য় আসেন খালেদা জিয়া। বাসায় আসার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টিনে তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। তার সাথে নার্সসহ সেবা প্রদানকারী কয়েকজন সদস্যও সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।