নিউজ ডেস্কঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর লাশ তার পৈত্রিক জেলা ভোলায় দাফনে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতারা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর শনিবার মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
মাজেদের লাশ ভোলায় যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভোলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে পাহারা বসিয়েছেন বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা।
তিনি শনিবার বিকালে গণমাধ্যমকে বলেন, “১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ভোলা বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। “আবদুল মজিদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এটা আমাদের ভোলাবাসীর জন্য কলঙ্ক। আমরা খুনি মাজেদের লাশ এই মাটিতে কবর দিতে দেব না। ভোলায় লাশ প্রবেশ করতে না দিয়ে আমরা অন্তত ভোলার মাটিকে কলঙ্কমুক্ত করতে চাই।”
মজনু এসময় আরও বলেন, “আমরা শুনেছি, আজকের মধ্যেই ফাঁসির রায় কার্যকর হতে পরে, সেজন্য ভোলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে আমরা পাহারা বসিয়েছি। কোনোভাবেই খুনি মাজেদের লাশ ভোলায় ঢুকতে দেয়া হবে না।” শনিবার বিকালে মাজেদের পৈত্রিক নিবাস ভোলার বোরহানউদ্দিনেও স্থানীয় সাংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল উপজেলা অওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি এসময় আরও বলেন “পুলিশ তাকে আটক করেছে এটা খুশির খবর হলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে আমরা ভোলাবাসী কোনো আনন্দ মিছিল করতে পারি নাই। “আনন্দ মিছিল করতে না পারলেও যে কোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও খুনি মাজেদের লাশ ভোলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।” এদিকে শনিবার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা মাজেদের লাশ বোরহানউদ্দিনে ঢুকতে দেবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, “খুনি মাজেদের লাশ যদি বোরহানউদ্দিনে প্রবেশ করে, তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বোরহানউদ্দিন শাখার নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করবে।”