চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।রোববার নমুনার পরীক্ষার এ রিপোর্ট আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, রোববার সকালে ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট জানার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আক্রান্ত আরএমও এবং এর আগে আক্রান্ত দুজনসহ তিনজনকে রোববার দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ডা. নুসরাত জানান, গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন। পরদিন সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার তার করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট আসে। গত ১০ এপ্রিল আক্রান্ত ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের চিকিৎসক, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, অ্যাম্বুলেন্স চালক, আক্রান্তের পরিবারের সদস্যসহ ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর এসব নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়।
“রোববার সকালে সেই রিপোর্টে আরএমও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরিপোর্ট আসে। বাকিদের রিপোর্ট নেগিটিভ আসে।”চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, মতলব উত্তর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তিনজন।“এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মতলব উত্তরের হানির পাড় গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে আসে রংপুরের ৩২ বছরের এক যুবক। পরদিন একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের আনারপুর গ্রামে নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ২৬ বছরের আরো এক যুবক এবং হানিরপাড় গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসা ৩২ বছর বয়সী যুবকের সংস্পর্শে আসা আরএমও।”