নিউজ ডেস্কঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দেহরক্ষীর গুলিতে আহত মোহাম্মদ মহিম উদ্দিনেরও মৃত্যু হয়েছে। কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল রাতে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেহরক্ষী পুলিশ সদস্য কিশোর কুমারের গুলিতে মোহাম্মদ শহিদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল শহিদের বন্ধু মোহাম্মদ মহিম উদ্দিন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে এনাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সেখানে চিকিৎসা চলাকালে তিনি মারা যান। ঘটনার পর গত শুক্রবার সকালে কিশোরের বিরেুদ্ধে মামলা করেন নিহত শহিদের স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে। করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় এখনও শুনানি হয়নি। সে সময় কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেছিলেন, “মন্ত্রীর গানম্যান এএসআই কিশোর ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছে। কিশোরের সন্দেহ তার স্ত্রীর সঙ্গে মোহাম্মদ মহিম উদ্দিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, যা পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। কিশোর ও মোহাম্মদ মহিম উদ্দিনের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে।
“কিশোর আড্ডা দেওয়ার জন্য মহিমকে ফোন করেন। মহিম তার বন্ধু শহিদকে নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামের একটি পতিত জমিতে গিয়ে কিশোরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে কিশোর মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে পিস্তল দিয়ে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি গুলি করেন।” সে সময় শহিদ বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। সে সময় মোহাম্মদ মহিম উদ্দীন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় পরে তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত্রে দুইটার সময় মৃত্যুবরণ করেন।