মোঃ লিমন মিয়া (সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি)
জামালপুর জেলা সরিষাবাড়ী উপজেলায় পোগলদিঘা ইউনিয়ন বয়ড়া ২১(একুশে)মোড় এলাকায় ১০(দশ) বছরের শিশুকে লোহার শিকলে আটকিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করেন সত মা।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছলিম উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম দুইটি বিয়ে করেন। বছর কয়েক আগে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে রফিকুল ইসলামের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় মেয়েটিকে রেখে দেয় রফিকুল ইসলাম (২২ এপ্রিল) সকাল বেলায় রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বকুল বেগম (৪৫) মেয়েটিকে রান্নার লাকড়ি কুড়িয়ে আনতে বললে মা ও মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ার ফলে সতভাই রতন,মনি ও বিপুল মেয়েটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে ও মারধর করে।
মেয়েটির কাছ থেকে জানা যায়,(২২ এপ্রিল) সকাল বেলা কথা কাটাকাটির পর মা আমার গলা চেপে ধরে। আমি কান্নাকাটি করলে মা ভাই মিলে আমাকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। সারাদিন কোন খাবার খেতে দেয় নিই আমাকে বৃহস্পতিবার ভোর বেলা মেয়েটি শিকল সহ পালিয়ে আসে ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নে ডিক্রীর বন্দ গ্রামে ফুফুর বাড়ীতে। পরে ফুফা আব্দুল বারেক মিয়া শিকলের তালা কেটে খেতে দেয় মেয়েটিকে।এ বিষয়ে মেয়েটির বাবার সাথে কথা বলতে গেলে তাকে বাড়ীতে খুজে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত সত মা বকুল বেগম নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেল, মেয়েটি পাগল ও দুশ্চরিত্রাবান বলে গালাগালি করে ছিলাম।তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক মোহব্বত কবীর বলেন, শিশু নির্যাতনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে পাওয়া গেলে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।