নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে চীন থেকে ৪ জন বিশেষজ্ঞ ঢাকায় আসছেন বলে জানা যায়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম (এপিডেমিক প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম) তৈরির জন্য এই দলটি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সরকারের অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান। এ বিষয়ে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জানান, এই দলটির সবাই চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিনোভাশিও সংস্থায় কর্মরত। এই সংস্থাটি করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চীন সরকারকে সফলভাবে সহায়তা করেছিল। ইতোমধ্যে তারা ভিসা পেয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশে তারা ৩ মাস অবস্থান করবেন।
এই তিন মাসে তারা করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারকে সাহায্য করবেন। উল্লেখ্য, এপিডেমিক প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের কাজ হচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাস তথ্য সংগ্রহ করে একটি দ্রুত মডেলিং তৈরি করা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ এজেন্সি ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে গবেষণালব্ধ তথ্য পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে নব্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পদ্ধতিও রয়েছে। এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ১ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি চীনা চিকিৎসাক দল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে আসছে।
শুধু তাই নই, পুরোপুরি চীনা অর্থায়নে গড়া চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রকে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে বলে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখুন। বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা আরও একবার!’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনা কোম্পানিগুলো এবং জ্যাক মা ফাউন্ডেশন ও আলিবাবা ফাউন্ডেশনের মতো দাতব্য সংগঠনগুলোও বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসা সামগ্রী ও উপকরণ দিয়েছে। বাংলাদেশে বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানিগুলো করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট সব অসুবিধা ও হতাশার পরেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আরো বলেন, আমি আপনাদের আবারও নিশ্চিত করছি যে, আরো ভালো ও অংশীদারিত্বমূলক ভবিষ্যতের জন্য এই মহামারি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।