নিউজ ডেস্কঃ
ঠিকানা এন্ট্রিতে ভুল, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন। শনাক্ত হওয়া করোনা পজিটিভ রোগী খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনের গতকাল থেকে এ পর্যন্ত এই নারী করোনা রোগীকে খুঁজে বের করতে হিমশিম খেতে হয়েছে প্রশাসনের লোকজন দের। অতঃপর প্রশাসনের ঘাম ঝরিয়ে গতকাল শুক্রবার (১ মে) করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া চট্টগ্রাম নগরীর রাহাত্তারপুলের ৩৪ বছরের সেই নারী করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে নগরীর জামালখান এলাকায়। ঠিকানা অনুযায়ী খুঁজতে গিয়ে ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিছেন সিভিল সার্জন। পরে নগরীর জামালখানের হেমসেন লেইন এলাকার ঠিকানায় তার খোঁজ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ওই নারী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এক চিকিৎসকের স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী ২জনেই ডাক্তার। স্বামী করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়ে গত ২৬ তারিখ থেকে ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ওই নারী করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার ঠিকানায় স্বামীর মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে এবং ঠিকানা এন্ট্রি করতে গিয়ে ভুল হওয়ার কারণে রাতে সেই ঠিকানা অনুযায়ী রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়নি পরে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হয়। এদিকে, রাতে স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ওই রোগীর আত্মগোপনে থাকার বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় পুরো চট্টগ্রামে।
তবে এটা কার ভুলে এমন বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি সাংবাদিকদের বলেন, ওই নারী করোনা রোগী ১ জন পুরানো করোনা রোগীর স্ত্রী। ঠিকানা যারা লিখেছেন তারা ভুল লিখেছে। আসল ঠিকানা জামালখানের হেমসেন লেন এলাকার। তথ্যে যে নাম্বার ছিল তা রোগীর স্বামীর ফোন নাম্বার। তিনিও একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।গত রাতে তার ফোন বন্ধ থাকায় এ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ‘ওই করোনা রোগী নারীর বাসা রাহাত্তারপুল এলাকায় না। জামালখানের হেমসেন লেন এলাকায়। ঠিকানা ভুল ছিল আবার মোবাইলও বন্ধ ছিল তাই ঝামেলাটা হয়েছে বলে জানান তিনি ।
একই প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহসীন বলেন, নারী করোনা রোগীর রাহাত্তারপুলের না। হেমসেন লেন এলাকার পুরাতন রোগীর স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী ২জনেই ডাক্তার। স্বামী ২৬ তারিখ থেকে ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল তার স্ত্রীর করোনা পজিটিভ আসেন। তিনি পাঁচলাইশের একটা ক্লিনিকে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।’ এদিকে, ১ মে করোনা শনাক্ত হওয়া ৩ জনের ১ জন লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ার বাসেক পাড়ার ৫১ বছর বয়সী বৃদ্ধ।
তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তার স্ত্রী লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ জন সিনিয়র নার্স। আরেকজন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবস্থিত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রোগী।তার বাসা খুলশীর রেলওয়ে কলোনিতে।বর্তমানে তিনি সাউথ ইস্ট ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় কর্মরত আছেন। অপরজন ৩৪ বছরের সেই নারী করোনা ভাইরাস শনাক্ত রোগী। ঠিকানা ভুল থাকায় আত্মগোপন থাকার বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যায় পুরো চট্টগ্রামে।