মোসলেম উদ্দিন (ইমন)
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের দেওয়া অঘোষিত লকডাউন এখনো শেষ হয়নি। তবে লকডাউনের আজ ৪২ তম দিন পার করলেও ঢিলেঢালাভাবে চলছে চট্টগ্রামের লকডাউন। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ ভাবে উদ্যোগে নিয়েছে আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে দোকানপাট শপিংমল খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ। ১০ মে থেকে দোকানপাট শপিংমল খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখন থেকে স্বাভাবিক হয়ে গেল জনজীবনের চলাফেরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়,
নগরীর বহদ্দারহাটের চিত্র দেখে মনে হচ্ছিল না দেশে কোন মহামারীর প্রভাব পড়েছে দেশের এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যদি সতর্ক না হয় তা হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। বিশ্বব্যাপী এ করোনাভাইরাস পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো যেখানে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের বাংলাদেশ কিছুই নয় কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ সচেতন না হওয়ার কারণে এ ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে আমাদের উপর। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন, সিভিল সার্জন ডাঃ ফজলে রাব্বী,
করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি, সেখানে বলা হয়েছে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে এবং আরও ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সিভিল সার্জন ডাঃ ফজলে রাব্বি এসময় চট্টগ্রামবাসীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন মানুষ যেন, অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়, জরুরী কোন প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে যেতে যেখানে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে আজ চট্টগ্রাম নগরীর চিত্র দেখে মনে হচ্ছে আমরা অনেক বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছি।