নিউজ ডেস্কঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় রেকর্ড করল বাংলাদেশ, প্রথম রেকর্ডে সর্বোচ্চ ১৫ জন মৃত্যু হয়েছিল, আজ ১০ মে রবিবার দুপুরের নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে ১৪ জন মৃত্যুর খবর জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৮ জনে দাঁড়ালো। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ২২৮ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৮৭ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৭।
আজ রবিবার (১০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসের কবলে। মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি। তবে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে চলছে ছুটি। বন্ধ বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। যদিও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া রোববার (১০ মে) থেকেই শর্তসাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। কিছু কিছু জেলায় ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কেট শপিং মল বন্ধ রেখেছে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রুপ থেকে বাঁচতে ঘরে থাকাটা জরুরী অপ্রয়োজনে ঘরের বের হওয়াটা মোটেও ঠিক হবে না এই পরিস্থিতিতে।