
বাঙালির এক একটা উৎসব আসছে, আর ঘরবন্দি দশার মধ্যেই তা কেটে যাচ্ছে। পয়লা বৈশাখ যখন ঘরবন্দি দশায় কেটেছিল, সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন রবীন্দ্রজয়ন্তীর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় কী! করোনার থাবায় এ বার বাঙালির জীবন থেকে অনেক কিছুই বাদ পড়ল। কিন্তু তা বলে জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করা হবে না, এমনটা হতে পারে না। করোনাকালীন সময়ে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে গত ১১ মে ফেসবুক পেইজে “চিত্ত যেথা ভয় শূন্য” শিরোনামে ডিজিটালভাবে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন করলো শিল্প চর্চা কেন্দ্র ও আত-উন্নয়নমূলক সংগঠন পূর্বা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পূর্বা’র সভাপতি প্রকৌশলী সনাতন চক্রবর্তী বিজয়ের স ালনায় উদ্বোধনী কথামালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র ও কবি মোহাম্মদ জোবায়ের, প্রাবন্ধিক খন রঞ্জন রায়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও ভাস্কর সামিনা এম করিম। এর পর পরই কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোটের পাঠ-অভিনয় নিয়ে আসেন বাংলাদেশের তিষণ সেনগুপ্ত। একে একে নয়টি রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের অনিতা চক্রবর্তী, কৌশিক সরকার, চট্টগ্রামের শুভাগত চৌধুরী, তিতলী বড়ুয়া,
সেজুতি বড়ুয়া, রিমি সিনহা ও যশোরের পৌষি পোদ্দার। পাঠ-অভিনয় কর্ণ কুন্তি সংবাদ পরিবেশন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলো নাট্য সংস্থার জয়ন্ত চক্রবর্তী ও অনিতা চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের বাচিক শিল্পী শিল্প্রশী তরফদার ও চট্টগ্রামের পুস্পা সর্ব্ববিদ্যা, নৃত্য পরিবেশন করেন চট্টগ্রামের নৃত্য প্রশিক্ষক শ্রাবনী ভট্টাচার্য ও পশ্চিমবঙ্গের শিশু শিল্পী শুভার্থী মন্ডল।