আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয় সে করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের সব দেশেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন চীনই এ ভাইরাসটি তৈরি করেছে।চীনের উহান শহরের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউটে ৩ টি জীবন্ত করোনাভাইরাস ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনকে নিজেই এসব তথ্য জানিয়েছেন, ওই ল্যাবের পরিচালক ওয়াং ইয়ানই। সারাবিশ্বে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে এই ভাইরাস। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোও করোনা ভাইরাসের সঙ্গে পেরে উঠছে না। প্রথম থেকেই এই ভাইরাসের পেছনে চীনের হাত রয়েছে বলে দাবি করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশেষ করে এই ভাইরাসের কারনে যে মহামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য বার বার চীনকেই দোষারোপ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, উহান নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই ওই ল্যাবে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে কথা বললেন এর পরিচালক। ওয়াং ইয়ানই জানান, ওই গবেষণাগারে বাদুড় থেকে কিছু করোনাভাইরাস আইসোলেট করে রাখা হয়েছিল। তবে তার দাবি, বাদুড়ের দেহ থেকে পাওয়া ওই ৩ টি জীবন্ত করোনাভাইরাসের সঙ্গে কোভিড-১৯য়ের কোনও সম্পর্ক নেই।
ওয়াং ইয়ানই বলেন, তাদের ল্যাবে যে কয়টি করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা হয়েছে সেগুলোর কোনটির সঙ্গেই কোভিড-১৯য়ের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওয়াং ইয়ানই আরও জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যরা চীনের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে যে, এই ভাইরাস উহানের ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গত ১৩ মে তার এই সাক্ষাৎকার ধারণ করে সিজিটিএন। এটি স্থানীয় সময় শনিবার রাতে প্রচার করা হয়।
ওই সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তাদের গবেষণাগারে যে ৩ টি করোনাভাইরাস রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে সার্স-কোভ-২ এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ।তিনি আরো জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর তারা একটি অজানা ভাইরাসের নমুনা হাতে পান। এরপর চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এর তথ্য উপস্থাপন করেন। ওয়াং লির মতে, ওই নমুনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্যদের মতো তারাও এই ভাইরাসের অস্তিত্বের কথা জানতেন না। তাহলে ল্যাব থেকে এই ভাইরাস ছড়াবে কিভাবে যখন এটি ল্যাবে ছিলই না?