মোসলেম উদ্দিন(ইমন)
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নামে যে ভাইরাসটি পুরো দুনিয়াতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা একদম সহজ ! সেটার কথাই জানাবো আজ আপনাদের।চীনের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপত্তি হয় এ ভাইরাসটি। ভাইরাসটি বর্তমানে বিশ্বের ২১২টি রাষ্ট্র অনায়াসে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজত্ব করে চলেছে সারা পৃথিবীতে এ ভাইরাস। ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের বাংলাদেশেও তার থেকে পিছিয়ে নেয়। এ ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছেন সারা পৃথিবীতে ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৮৯ জন মানুষ। এবং এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ লক্ষ ২৪ হাজার ০৫৪ জন মানুষ,
তবে ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হারের চেয়ে সুস্থতার হার অনেক বেশি সারা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ০৬০ জন মানুষ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৫১ জন মানুষ, সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৫৭৯ জন মানুষ, তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৫২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এ করোনাভাইরাসের কারণে।তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা এই আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সবাই সরকারকেই বরাবরের মতো দোষারোপ করে যাচ্ছেন, আমাদের দেশে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ সব সময় সরকারকে দোষারোপ করে যায়,
কিন্তু এই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে উন্নত দেশগুলোর চেয়ে এক হাজার গুন এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।এবার আসুন কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই করোনাভাইরাস? মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের কিছু মানুষ সচেতন নয়,বরং কারো বাড়ির পাশে একটি করোনা রোগী পাওয়া গেলে সে বাড়ি প্রশাসন গিয়ে লকডাউন করে দেয়, কিন্তু সেই লকডাউন বাড়ি দেখতে ভিড় জমায় আমাদের দেশের কিছু মানুষ। সেখানেও কোন সমস্যা নেই সমস্যাটা হচ্ছে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের !
মনে করেন একজন মানুষের করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে, কিন্তু সেই ব্যক্তি হাট-বাজার চলাফেরা সব করছে যখনই তার শরীর একটু খারাপের দিকে যাচ্ছে ঠিক তখন গিয়ে তিনি করোনা পরীক্ষা করান।সেই ব্যক্তি নিকটস্থ করোনা ল্যাবে নমুনা দিয়ে আসার পর” তার রিপোর্ট আসতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ৭ দিন এই পাঁচ থেকে ৭ দিন সেই ব্যক্তি নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে না রেখে, ঠিক আগের মত চলাফেরা করতে শুরু করে। এতেই বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকি! এবার আসুন কোন মানুষ কি ৭ দিনে কত জায়গায় গিয়েছে বা কতজন মানুষের সংস্পর্শে এসেছে কেউ মনে রাখতে পারবে? নিশ্চয়ই মনে রাখার কথাও নয়?
এবার সেই ব্যক্তির নমুনা যদি পজিটিভ আসে সেই নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় নিকটস্থ থানার পুলিশ গিয়ে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় এই বাড়িটি লকডাউন।এবার সবাই খুঁজতে শুরু করে দেয় তিনি কোন কোন জায়গায় গিয়েছেন কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তাতে অনেক দেরি হয়ে যায় আমাদের, এবার আসুন আমাদের করণীয় কি? জেনে নেই। কোন ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই তিনি নিজেকে নিজে আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেলে এবং তিনি সেখানে যদি ১৪ দিন ধরে ঘরে অবস্থান করে তাহলে আমাদের ঝুঁকিটা ১০০% কমে যাচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে নিজে বাঁচলে বাঁচবে poribar-পরিবার বাঁচলে বাঁচবে সমাজ সমাজ বাঁচলে বাঁচবে দেশ।
সরকার প্রথম থেকে লকডাউন করার পর আমরা সবাই যদি তা মানতাম তাহলে এতো সংক্রমনের ঝুঁকি আমাদের থাকতো না। বুঝতে হবে আমি নিজেকে বাঁচানোর জন্য যা যা প্রয়োজন হয় সবকিছু করব, তাহলে কেন শুধু মাত্র ১৪ টা দিন নিজেকে ঘরের ভিতর রাখতে পারবেন না? আসুন আমরা সবাই সচেতন হই নিজে বাঁচি পরিবারকে বাঁচায়” ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। এই লেখা থেকে কেউ যদি কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এটি আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত ধন্যবাদ সবাইকে।