মোসলেম উদ্দিন(ইমন)
বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নামে যে ভাইরাসটি পুরো দুনিয়াতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা একদম সহজ ! সেটার কথাই জানাবো আজ আপনাদের।আমাদের বাংলাদেশে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি তাই এই কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস আমাদের দেশে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি এখনো তাই এখনই মহামারী আকার ধারণ করার আগে আমাদেরকে সচেতন হয়ে নিজেদের প্রতিরক্ষা নিজেদেরকে করতে হবে।
চীনের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপত্তি হয় করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৫ টি রাষ্ট্র দেশে অঞ্চলে অঞ্চলে অনায়াসে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজত্ব করে চলেছে সারা পৃথিবীতে ‘এ ভাইরাস। ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের বাংলাদেশেও তার থেকে পিছিয়ে নেই। এ ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছেন সারা পৃথিবীতে তিন লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৬০ জন মানুষ প্রাণঘাতী এই মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
এবং এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে ৬৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৭৫ জন মানুষ, তবে বৈশ্বিক মহামারীর মৃত্যুর হারের চেয়ে সুস্থতার হার অনেক বেশি সারা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫২৫ জন মানুষ।বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে এপর্যন্ত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ করোনাভাইরাস এর কারণে।
তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা এই আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সবাই সরকারকেই বরাবরের মতো দোষারোপ করে যাচ্ছেন, আমাদের দেশে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ সব সময় সরকারকে দোষারোপ করে যায় কিন্তু এই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে উন্নত দেশগুলোর চেয়ে এক হাজার গুন এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।এবার আসুন কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই করোনাভাইরাস? মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ সচেতন নয়,বরং কারো বাড়ির পাশে একটি করোনা রোগী পাওয়া গেলে সে বাড়ি প্রশাসন দিয়ে লকডাউন করে দেয়, কিন্তু সেই লকডাউন বাড়ি দেখতে ভিড় জমায় আমাদের দেশের মানুষ!
সেখানেও কোন সমস্যা নেই, সমস্যাটা হচ্ছে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেছেন সমস্যাটা হচ্ছে তাদের !মনে করেন একজন মানুষের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে, কিন্তু সেই ব্যক্তি হাট-বাজার চলাফেরা সব কিছু করছে আগের মত যখনই তার শরীর একটু খারাপের দিকে যাচ্ছে ঠিক তখন গিয়ে তিনি করোনা পরীক্ষা করাছেন।সেই ব্যক্তি নিকটস্থ করোনা ল্যাবে নমুনা দিয়ে আসার পর তার রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে পাঁচ থেকে ৭ দিন এই পাঁচ থেকে ৭ দিন সেই ব্যক্তি নিজেকে কোয়ারেন্টাইন না রেখে ঠিক আগের মত চলাফেরা করতে শুরু করে! এতেই বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকি! এবার আসুন কোন মানুষ কি ৭ দিনে কত জায়গায় গিয়েছে বা কতজন মানুষের সংস্পর্শে এসেছে কেউ মনে রাখতে পারবে?
নিশ্চয়ই মনে রাখার কথাও নয়? এবার সেই ব্যক্তির নমুনা যদি পজিটিভ আসে সেই নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় নিকটস্থ থানার পুলিশ গিয়ে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় এ বাড়িটি লকডাউন। এবার সবাই খুঁজতে শুরু করে দেয় তিনি কোন কোন জায়গায় গিয়েছেন কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তাতে অনেক দেরি হয়ে যায় আমাদের, এবার আসুন আমাদের করণীয় কি? জেনে নেই।
কোন ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই তিনি নিজেকে নিজে আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেলে এবং তিনি সেখানে যদি ১৪ দিন ধরে ঘরে অবস্থান করে, তাহলে আমাদের ঝুঁকিটা ১০০% কমে যাচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে নিজে বাঁচলে বাঁচবে poribar-পরিবার বাঁচলে বাঁচবে সমাজ সমাজ বাঁচলে বাঁচবে দেশ।সরকার প্রথম থেকে লকডাউন করার পর আমরা সবাই যদি তা মানতাম তাহলে এতো সংক্রমনের ঝুঁকি আমাদের থাকতো না। বুঝতে হবে আমি নিজেকে বাঁচানোর জন্য যা যা প্রয়োজন হয় সবকিছু করব, তাহলে কেন শুধু মাত্র ১৪ টা দিন নিজেকে ঘরের ভিতর রাখতে পারবেন না?