মোসলেম উদ্দিন(ইমন)
বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে গত ৮ মার্চ। চীনে যখন এই মহামারী মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে তখনো বাংলাদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র তিনজন, ৮ মার্চ ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব,এপ্রিল মাসে মোট ৬ টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৫৭ জনের সেই নমুনা পরীক্ষায় আরো তিনজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়।
পরে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ মোট ২০ টি ল্যাবে নমুনা পরিক্ষা করা হয় আরো ১ হাজার ৭৪০ জনের সেখানে শনাক্ত হয় ২১৯ জন, পরবর্তীতে (১৮ মে) মোট ৪২ টি ল্যাবে নমুনা পরিক্ষা করা হয় আরো ৯ হাজার ৭৮৮ টি ঐদিন করোনা শনাক্ত হয় আরও ১ হাজার ৬০২ জনের।২৯ মে ৪৯ টি ল্যাবে নমুনা পরিক্ষা করা হয়, আরও ১১ হাজার ৩০১ টি এতে শনাক্ত হয় ২ হাজার ৫২৩ জন ঐদিন সবমিলিয়ে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৮৪৪ জন, সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের, ২৯ মে পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল বাংলাদেশে ৫৮২ জন।
এর পরের মাসে ২ জুন ৫২ টি ল্যাবে নমুনা পরিক্ষা করা হয় আরও ১২ হাজার ৭০৪ জনের সেদিন শনাক্ত হয় ২ হাজার ৯১১ জন, ২ জুন বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে আরো ৩৭ জনের ফলে ওই দিন পর্যন্ত দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছিল ৭০৯ জনের ২ জুন পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৫২ হাজার ৪৪৫ জন,এরপর সর্বশেষ ৩ জুন পর্যন্ত দেশে ৫০ টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়, এতে সনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯১১ জন ফলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৫২ হাজার ৪৪৫ জন, তিনজন মৃত্যু হয় আরো ৩৭ জনের ফলে এ পর্যন্ত দেশে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৭০৯ জন।
আজ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী সংখ্যা ১১ হাজার ৫৯০ ওজন, মৃত্যুর চেয়ে সুস্থতার হার বেশি হলেও আক্রান্তের হার দেশে অনেক বেশি বাংলাদেশে।সারা পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৮ হাজার ৬২ জন, ওই দেশে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ১৮ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫৬ জন। তবে দেশটিতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৬০ জন। পুরো পৃথিবীতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা হচ্ছে ৬৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৬৮ জন, সারা পৃথিবীতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০১ জন, দুঃখজনক হলেও সত্যি সারা পৃথিবীতে পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন লক্ষ ৮২ হাজার ৮২২ জনের।