
নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির সপরিবারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের অন্য আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী, ৩ মেয়ে, ১ নাতনি ও ১ মেয়ের জামাই। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন এমপির এপিএস এবং ৩ জন গৃহকর্মীও।মুঠোফোনে অজানা বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল।রাসেল বলেন, গত ১ জুন মুস্তাফিজুর রহমান এমপির শহরের বাসা থেকে পরিবারের মোট ১৬ জনের নমুনা নেয়া হয়। ২ জুন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির রিপোর্টে এমপিসহ মোট ১১ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।
তিনি জানান, ‘২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে গাড়ির চালকদেরও ছুটি দেয়া হয়। বাসায় মানুষের যাওয়া-আসাও সীমিত করা হয়। স্যার তেমন কোনো মিটিং-সেমিনারেও যোগ দেননি। এমপি নিজে এবং পরিবারের কোনো সদস্য বাসা থেকে তেমন বেরও হননি। শুধু ১৪ মে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির আহ্বানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন।
এছাড়া নিজের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন তিনি, তবে তা ১৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত। সবমিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ছিলেন তিনি। এরপরও করোনায় আক্রান্তের হিসাব মেলাতে পারছেন না এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবার।’রাসেল আরও জানান, ‘ঈদের আগে নিজ এলাকা বাঁশখালীতে গেলেও বাড়িতে লোকজনের ভিড় হওয়ার শঙ্কায় পুনরায় শহরে ফিরে আসেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। ঈদ করেছেন শহরেই।
তবে ঈদের সময় বাসায় বেশ কিছু সংখ্যক অতিথি এসেছিলেন। যদিও অতিথিদের সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন এমপি।’পরিবারের সবাই শহরের বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানিয়েছে, রাসেল বলেন, আল্লাহর রহমতে স্যার (এমপি) ভালো রয়েছেন। পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি। সিভিল সার্জন মহোদয় খোঁজ-খবর রাখছেন। পরিবারের সবাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ মেনে চলছেন।