নিউজ ডেস্কঃ
রাজধানীর কয়েকটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে চট্টগ্রামকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙের ৪টি জোনে ভাগ করা এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে এ দুটি কার্যালয়। তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে সংস্থা দুটি।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুরো চট্টগ্রাম নগরীকে ৪ টি জোনে ভাগ করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যে এলাকায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি, সেই এলাকাকে গ্রিন (সবুজ) জোন,
এক থেকে ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া এলাকা ব্লু (নীল) জোন, ১১ থেকে ৯৯ জনের এলাকা ইয়ালো (হলুদ) জোন এবং শনাক্তের সংখ্যা একশো পেরোনো এলাকাকে রেড (লাল) জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।নিয়মানুযায়ী, রেড জোনে পালিত নিশ্চিত করা হতে পারে কঠোর লকডাউন, ইয়েলো জোনে জনসমাগম হবে নিয়ন্ত্রিত, ব্লু জোনে করা হবে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধির প্রয়োগ এবং গ্রিন জোনে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার করা হবে সংরক্ষিত। সামাজিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী নগরীর থাকবে না কোনো গ্রিন ও ব্লু জোন। এছাড়া ইয়ালো জোনও ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে রেড জোনের বৈশিষ্ট্যে।
এ বিষয়ে আজ (বুধবার ১০ জুন) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এক্সেস টু ইনফরমেশন ইন বাংলাদেশের (এ২আই) সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি সভা হয়। প্রাথমিক এ সভায় চসিক এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পরিকল্পনা নেয়। এটুআই আক্রান্ত ব্যক্তির মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে একটি তথ্যসমৃদ্ধ মানচিত্র তৈরি করবে। এর মাধ্যমে জোন ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছে চসিক।চসিকের এ কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, ‘আমরা আজকে প্রাথমিক পর্যায়ের একটি মিটিং করেছি। সরকার প্রদত্ত নিয়মানুযায়ী চট্টগ্রাম নগরীকে ৪ টি জোনে ভাগ করা হতে পারে। এ জোনগুলোকে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে মতো লকডাউনও করা হতে পারে।
উপর মহল থেকে যে সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হবে, আমরা তাই প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করবো।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনো আমরা ক্লিয়ার কিছু জানিনা। এটা নিয়ে আমাদের কাছে যখন জানানো হবে তখন সেখানে এটির ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। যতটুকু জানি, স্যাম্পল নেয়ার সময় যে মোবাইল নাম্বার দেয়া হচ্ছে সে তথ্য অনুযায়ী কালারিং করে একটি ম্যাপ তৈরি করা হবে। আমরা সেই ম্যাপ ও নির্দেশনা অনুযায়ী, তা প্রয়োগ করবো। এটি প্রয়োগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ও স্বাস্থ্য প্রশাসন কাজ করবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২ মাসে তা ৪ হাজারে অতিক্রম করলো। এর মধ্যে চট্টগ্রামে শহরে ১৬ টি থানায় আছ ১৮৭০ জন। গত ৯ জুন সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী, মহানগরে এগিয়ে আছে কোতোয়ালী থানা ও উপজেলায় এগিয়ে আছে পটিয়া। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকা হিসেবে তিনটি থানা হলো- কোতোয়ালী ৫১৫, পাঁচলাইশ ২৬০ ও খুলশি ২৩৯ এবং উপজেলা হলো- পটিয়া ১৭০, হাটহাজারি ১৬৩ ও সীতাকুণ্ড ১৩০।